গোবিন্দ রায়: পুরুলিয়ার ঝালদায় (Jhalda) কংগ্রেস কাউন্সিলর হত্যাকাণ্ডের জল গড়াল কলকাতা হাই কোর্টে। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব কাউন্সিলরের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। আগামী সোমবার মামলার শুনানি।
গত ১৩ মার্চ বিকেলে হাঁটতে বেরিয়ে শহর থেকে বেশ খানিকটা দূরে ঝালদা- বাঘমুণ্ডি সড়কপথে গোকুলনগরের কাছে আততায়ীদের ছোঁড়া গুলিতে প্রাণ হারান এই কংগ্রেস কাউন্সিলর (Congress Councillor)। তারপর থেকেই এই খুনের ঘটনায় ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষকে কাঠগড়ায় তোলেন ঝালদার মানুষজন। গুলিবিদ্ধ ওই কাউন্সিলরকে ঝালদা-১ নম্বর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আনা হয়। সেখানে আইসি গেলে ঝালদার মানুষজন তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। ওই দিন রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঝাড়খণ্ডের রাঁচি হাসপাতালে কাউন্সিলরের মৃত্যু হওয়ার পর ক্ষোভে ফুঁসতে থাকে ঝালদা। নিহতের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু এই ঘটনায় সরাসরি আইসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
[আরও পড়ুন: বগটুই কাণ্ডে অতিসক্রিয়তা! বিজেপির ভূমিকার নিন্দায় সরব হিন্দু মহাসভা]
এরপরেই আইসির (IC) সঙ্গে নিহত কাউন্সিলরের ভাইপো মিঠুন কান্দুর একের পর এক কথোপকথনের অডিও ভাইরাল হয়ে যায়। প্রথম পর্যায়ের অডিওতে শোনা যায়, তপন কান্দু, তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু-সহ মোট তিনজন কংগ্রেস কাউন্সিলরকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য মিঠুনকে চাপ দেন আইসি। দ্বিতীয় পর্যায়ের অডিওতে অভিযোগের বয়ান বদলে দেওয়ার কথা বলতে শোনা যায় আইসির মুখে। এ ঘটনা থেকে বাঁচার জন্য ভাইপো মিঠুনের কাছে কাতর প্রার্থনা করতে শোনা যায় ওই আইসিকে। এমনকী, কাকার খুনের বদলা নিতে তাকে গুলি করে মারার কথাও বলেন আইসি।
এই ঘটনায় যথাযথ তদন্তের স্বার্থে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন সদ্য জয়ী কংগ্রেস কাউন্সিলরের স্ত্রী। সেই অনুযায়ী শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন পূর্ণিমা কান্দু। তিনি বলেন, “রাজ্য পুলিশের উপর ভরসা নেই। ঝালদার আইসি নিজেই জড়িত। সিবিআই তদন্ত হলেই বড় মাথা ধরা পড়বে।”