সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার তালিবানকে (Taliban) প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়ে বিতর্ক উসকে দিলেন কংগ্রেস বিধায়ক ইরফান আনসারি। শুধু তাই নয়, জেহাদিদের রীতিমতো ‘বিপ্লবী’ তকমা দিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের ওই রাজনীতিবিদ।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীর ইস্যুতে ভোলবদল তালিবানের, ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়ে মুসলিমদের সঙ্গে কথা বলার ঘোষণা]
শুক্রবার আফগানিস্তান নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন কংগ্রেস প্রধান আনসারি বলেন, “আফগানিস্তানে অত্যাচার চালাচ্ছিল মার্কিন ফৌজ। মায়েদের, বোনেদের ও শিশুদের উপর হেনস্তা করত তারা। এসবের বিরুদ্ধেই লড়াই চলছিল। তালিবান ও আফগানিস্তানের মানুষ খুশি।” তালিবানকে দিব্বি ‘বিপ্লবী’ আখ্যা দিয়ে আমেরিকা ও ব্রিটেনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে জামতাড়ার ওই কংগ্রেস বিধায়ক আরও বলেন, “ব্রিটিশ ও আমেরিকার সেনা যেখানেই যায় সেখানেই আম জনতার উপর অত্যাচার চালায় তারা। এবার আফগানিস্তানে শান্তি ফিরবে। কারণ মার্কিন ফৌজ চলে গিয়েছে আর ব্রিটিশদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে যা হচ্ছে তার সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই।”
এদিকে, এই ঘটনায় কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিজেপি (BJP)। আনসারির বক্তব্য কংগ্রেসেরে তালিবানি মানসিকতার পরিচয় বলে আওয়াজ তুলেছে পদ্মশিবির। ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় বিজেপির চিফ হুইপ বিরিঞ্চি নারায়ণ বলেন, “উনি এমন কথা বলছেন কারণ কংগ্রেসের মানসিকতা তালিবানি। তিনি এমন একটি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনকে সমর্থন করছেন যারা মহিলা ও সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের জন্য কুখ্যাত। তাদের (তালিবানের) ভয়ে মহিলারা আফগানিস্তান ছেড়ে পালাচ্ছে। আনসারি কি চাইছেন যে ভারতেও এমনটা হোক।”
উল্লেখ্য, আগেও তালিবানি শাসন দেখেছেন আফগান মেয়েরা। তাই জঙ্গিগোষ্ঠীটির আশ্বাস সত্ত্বেও আতঙ্কিত তাঁরা। তবে উপায়ন্তর না থাকায় আপাতত তাঁদের ঠিকানা আফগানিস্তানই (Afghanistan)। ১৯৯৬ থেকে ২০০১, এই পাঁচ বছরে তারা মেয়েদের স্কুলে যাওয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছিল, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় তো দূর অস্ত। কোপ পড়েছিল মেয়েদের কর্মজীবনেও। কিন্তু গত দু’দশক ধরে ছবিটা পাল্টেছে। বাইরের জীবনে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন আফগান, বিশেষত, শহুরে আফগান মেয়েরা। এহেন সময়ে কাবুলে জেহাদিদের রাজত্বে দেশ আবার সেই আদিম যুগে ফিরে গিয়েছে বলেই মনে করছেন তাঁরা।