চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: বুধবার কোচবিহার (Cooch Behar) থেকে ফোনে মাথা ঠান্ডা রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সমস্যা সমধানের আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে লাভ কিছুই হল না। মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগেই পুরপ্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari)।
জিতেন্দ্র তিওয়ারি পদ ছাড়বেন, এই নিয়ে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। তিনি পদ ছাড়তে পারেন, এই আশঙ্কা করে তাঁর একাধিক অনুগামীও ইস্তফা দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে পুরনিগমের মুখোমুখি ভবনে মিনিট পনেরো পুরকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সেখানেই প্রথম ঘোষণা করেন ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা। জানা গিয়েছে, এই পদত্যাগের কথা প্রকাশ্যে আসার পরই জিতেন্দ্র তিওয়ারির পাণ্ডবেশ্বরের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। এরপরই জেলা সভাপতি পথ থেকেও ইস্তফা দেন জিতেন্দ্র। বলেন, “আমি ভেবেছিলাম আগামিকাল দিদির সঙ্গে কথা বলব। কিন্তু পুরপ্রশাসকের দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই পাণ্ডবেশ্বরের দলীয় কার্যালয় দুষ্কৃতী দিয়ে ভেঙে ফেলা হল। জানি কলকাতার নির্দেশেই এটা হচ্ছে। তাই আমি দলের সভাপতি পদ ও দলের সঙ্গে সম্পর্ক আমি ছিন্ন করলাম।”
[আরও পড়ুন: কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর সহায়তা কেন্দ্র ‘দখল’ করল তৃণমূল, মোছা হল গেরুয়া রং]
উল্লেখ্য, শেষ কয়েকদিন ধরেই দলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলছিলেন জিতেন্দ্র। সরাসরি আক্রমণ করেছিলেন ফিরহাদ হাকিমকে। তবে বরাবরই লেছিলেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে অত্যন্ত সম্মান করেন। তাঁর সঙ্গেই থাকবেন। গতকাল শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠকের পরও একই কথা শোনা গিয়েছিল তাঁর মুখে। জিতেন্দ্র তিওয়ারির ক্ষোভের কথা জানতে পেরে বুধবার তাঁকে ফোনও করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, কলকাতা ফিরে সমস্ত সমস্যার সমাধান করে দেবেন। ১৮ তারিখ জিতেন্দ্র তিওয়ারির সঙ্গে বৈঠক করবেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।