সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলের সঙ্গে মান অভিমানের পালা চলছে পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারির। ‘গেরুয়া টানে’ বেগরবাই করলেও কয়েকদিন আগেই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেবেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। তবে ততদিনে ক্ষতি যা হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে। কিছুতেই আর তাঁর উপর ভরসা রাখতে পারছে না রাজ্যের শাসকদল। ফলে পুরপ্রশাসকের পর তৃণমূলের জেলা সভাপতি পদও হাতছাড়া হয় জিতেন্দ্রর। এহেন পরিস্থিতিতে টুইট করে ফের জল্পনা উসকে দিলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: কোনওভাবেই ভ্যাকসিনের অপচয় নয়! দ্বিতীয় দফার টিকাকরণে সতর্কতার নির্দেশ স্বাস্থ্যভবনের]
সোমবার নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে জিতেন্দ্র (Jitendra Tiwari) লেখেন, “পরিস্থিতি যখন কঠিন হয়। তখন দৃঢ়চিত্ত মানুষরা এগিয়ে যান।” এছাড়াও, হিন্দিতে বেশ কয়েক ছত্র লিখে তিনি বুঝিয়ে দেন যে কঠিন সময়ে তাঁকে দমিয়ে রাখা যাবে না। এই টুইটগুলি যথেষ্ট ‘ইঙ্গিতপূর্ণ’ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। দলে তাঁর অবস্থান যে এখন বেশ নড়বড়ে তাও মেনে নিয়েছেন বিশ্লেষকরা। প্রশ্ন উঠছে, এবার কি তাহলে তৃণমূলকে বিদায় জানাবেন তিনি? তবে কি শুভেন্দু অধিকারীদের মতোই গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে চলেছেন তিনি? এছাড়া, আরও প্রশ্ন হচ্ছে, বাবুল সুপ্রিয়র মতো বেশ কয়েকজন নেতাদের আপত্তি সত্বেও কি শেষমেশ বিজেপি হাইকমান্ড জিতেন্দ্রকে দলে জায়গা দেবে?
সম্প্রতি পুরপ্রশাসকের পর জেলা সভাপতি পদও হাতছাড়া হয়েছে জিতেন্দ্র তিওয়ারির। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয় অপূর্ব মুখোপাধ্যায়কে। ইস্তফাপত্র ফিরিয়ে নেননি বলেই দলের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন জিতেন্দ্র। তিনি যে পদ ছাড়বেন, ডিসেম্বরের শুরু থেকেই তা নিয়ে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল। কারণ, দলের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। নজিরবিহীনভাবে আক্রমণ করেছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। তিনি পদ ছাড়তে পারেন, এই আশঙ্কা করে তাঁর একাধিক অনুগামীও ইস্তফা দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ১৭ ডিসেম্বর দুপুরে পুরনিগমের মুখোমুখি ভবনে মিনিট পনেরো পুরকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সেখানেই প্রথম ঘোষণা করেন ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা। পরে দলও ছাড়েন। সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বাড়িতে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। পরবর্তীতে কলকাতায় তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে জানান, তিনি দিদিকে দুঃখ দিতে পারবেন না। তাই ভোলবদল করে থেকে যান তৃণমূলেই। পাশাপাশি, সমস্যা মিটে গিয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সমস্যা যে এখনও রয়েছে তা তাঁর টুইটেই ফের প্রমাণ হল।