মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: সন্ত্রাস দমনে জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) বড় সাফল্য। প্রায় তিনদিন ধরে চলা সংঘর্ষে খতম হয়েছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডার সাজ্জাদ আফগানি।
[আরও পড়ুন: দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করে কোয়াডে পাঁচ বিষয়ে সহমত মোদি-বাইডেন]
সোমবার শোপিয়ান জেলায় সেনা, আধা সামরিক বাহিনী ও পুলিশের যৌথবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে সাজ্জাদ। মূলত, যুবকদের মগজধোলাই করে তাদের জঙ্গি সংগঠনে টেনে আনার কাজ করত ওই জঙ্গি। শোপিয়ান জেলায় জইশের মাথা ছিল সে। তার মৃত্যুতে সংগঠনটি বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বলে রাখা ভাল, গত শনিবার থেকেই জঙ্গিদের ডেরা ঘিরে রেখেছিল নিরাপত্তারক্ষীরা। থেমে থেমেই চলছিল সংঘর্ষ। সোমবারও শুরু হয় গুলির লড়াই। তারপরই ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সাজ্জাদের দেহ।
উল্লেখ্য, ১০ মার্চ জম্মু ও কাশ্মীরে নিকেশ হয় কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন ‘আল বদর’-এর প্রধান গানি খোয়াজা। উপত্যকায় একাধিক সন্ত্রাসবাদী হামলার নেপথ্যে রয়েছে পাক মদতপুষ্ট এই জঙ্গি সংগঠনটি। ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে একটি র্যালির আয়োজন করা হয়েছিল আল বদর জঙ্গি সংগঠনের তরফে৷ সেখান থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরে সংগঠন গড়ে তোলার ডাক দেওয়া হয়। এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনই আগামীতে কাশ্মীরের কণ্ঠ হয়ে উঠবে বলে দাবি করা হয়৷ তবে খোয়াজার মৃত্যুতে সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে।
কয়েকদিন আগেই কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা জানায় আমেরিকা। সন্ত্রাসবাদ ও কাশ্মীর (Kashmir) নিয়ে বক্তব্য রাখেন মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস। কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ ও অনুপ্রবেশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “নিয়ন্ত্রণরেখায় যে জঙ্গিরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে তাদের কাজের তীব্র নিন্দা করছি আমরা। কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি আলোচনার পক্ষে আমেরিকা।”