সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের (J&K) পুঞ্চে গত বৃহস্পতিবার জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জওয়ানের। গুলি ছুঁড়ে হত্যার পর গ্রেনেড বিস্ফোরণে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সেনার একটি ট্রাকে। ওই ঘটনার পরেই জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় অভিযান শুরু করে সেনা। আগেই সন্দেহভাজন বারো জনকে আটক করা হয়েছিল। নতুন করে দেগওয়ার গ্রামের দুই জোড়া যুগলকে আটক করা হয়েছে। তাঁরা নিজেদের বাড়িতে জঙ্গিদের আশ্রয় দিয়েছিল বলে অভিযোগ। এছাড়াও গভীর জঙ্গলে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ নিশ্চিত, শহিদ জওয়ানদের অস্ত্র নিয়ে পালিয়েছে আততায়ীরা।
গত ২০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সেনার তরফে ট্রাকে করে ইফতারের জন্য ফল ও অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেদিন সন্ধ্যায় ইফতার পার্টির আয়োজন হওয়ার কথা ছিল পুঞ্চের সাঙ্গিয়োটে নামের একটি গ্রামে। কিন্তু তার আগেই ভট্ট দুরিয়ান জঙ্গলে সেনার ট্রাকে হামলা চালায় জঙ্গিরা। আড়াল থেকে গুলি করে সেনাকর্মীদের হত্যার পর গ্রেনেড ছোড়া হয়েছিল ট্রাকে। এর ফলেই ভস্মীভূত হয় ট্রাকটি। ঘটনায় শহিদ হন পাঁচ জওয়ান।
[আরও পড়ুন: পুর-দুর্নীতিতে CBI তদন্ত: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য]
এই ঘটনার পরেই এলাকায় শুরু হয় সেনা অভিযান। প্রাথমিক ভাবে আটক করা হয় বারো জনকে। নতুন করে আরও চারজনকে আটক করল সেনা। এরা স্থানীয় বাসিন্দা যুগল। অভিযোগ, তাঁদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েই গোটা অপরেশন চালায় জঙ্গিরা। এছাড়াও গভীর জঙ্গলে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে মেলেনি শহিদ জওয়ানদের অস্ত্র। এর থেকে সেনাকর্তাদের ধারণা। হামলার পর সেনার অস্ত্র নিয়ে পালিয়ে যায় জঙ্গিরা।
[আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে সরকারি গণবিবাহের আসরে অন্তঃসত্ত্বা পরীক্ষা! বাতিল পাঁচ কনে, বিতর্ক চরমে]
এদিন জম্মুর অতিরিক্তি ডিজিপি মুকেশ সিং জানান, জঙ্গিদের চিহ্নিত করতে সেনা, প্যারা মিলিটারি এবং পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে স্পষ্ট, ২-৩ জন জঙ্গি গোটা অপরেশন চালিয়েছে। তারা পাকিস্তানের বাসিন্দা। এখনও পর্যন্ত যা তথ্যপ্রমাণ মিলেছে, তাতে মনে করা হচ্ছে এই ঘটনার সঙ্গে স্থানীয়রা যুক্ত নয়।