সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীরে জঙ্গি দমনে রীতিমতো বেনজির পদক্ষেপ জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের (Jammu and Kashmir Police)। আগেই কাশ্মীর প্রশাসন ঘোষণা করেছিল উপত্যকায় কেউ স্বেচ্ছায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত কাউকে আশ্রয় দিলে তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। সেই কাজ এবার পুরোদমে শুরু করে দিল কাশ্মীর পুলিশ। যা নিয়ে উপত্যকায় একদিকে যেমন সন্ত্রাসবাদীদের মদতদাতারা আতঙ্কিত, অন্যদিকে তেমনি ছড়িয়েছে বিভ্রান্তিও।
কাশ্মীর (Kashmir) পুলিশ স্পষ্টই জানিয়েছে, উপত্যকায় বহু মানুষ আছে যারা সন্ত্রাসবাদীদের মদত দেয়। জঙ্গিদের নিজেদের বাড়িতে নিরাপদ আশ্রয়ে লুকিয়ে রাখে। সন্ত্রাসবাদীদের মতোই এরা বিপজ্জনক। এদের সব সম্পত্তি পুলিশ বাজেয়াপ্ত করবে। ইতিমধ্যেই সেই কাজ জোরকদমে শুরু করা হয়েছে। আসলে উপত্যকায় এখনও বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন বা ইউএপিএ কার্যকর হয়ে আছে। এই আইনেই উপত্যকায় বসবাসকারী সন্ত্রাসবাদীদের মদতদাতাদের কড়া শাস্তির বিধান আছে।
[আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! ই-স্কুটারে চার্জ দিতে গিয়ে ভয়ংকর বিস্ফোরণ, মৃত্যু বাবা ও মেয়ের]
কাশ্মীর পুলিশ বলছে, এই আইনটিকে নতুন করে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার কারণ হল উপত্যকায় কিছু মানুষ আছে যারা সন্ত্রাসবাদীদের জন্য স্বর্গ তৈরি করে রেখেছে। জঙ্গিরা উপত্যকার নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে থেকেই সাধারণ নাগরিক এবং নিরাপত্তা রক্ষীদের উপর হামলা চালায়। সন্ত্রাস দমন করতে হলে এইসব নাগরিকদের শাস্তি দিতে হবে বলেই মনে করছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ‘ওখানে দেশবিরোধী তৈরি হয়’, এবার কর্ণাটকের সব মাদ্রাসা বন্ধের আরজি বিজেপি বিধায়কের]
এ নিয়ে যদিও উপত্যকার একটা বড় অংশের মানুষের মধ্যে অসন্তোষ জমেছে। উপত্যকার মানুষের একাংশের অভিযোগ, অনেক সময় জঙ্গিরা জোর করে বা ভয় দেখিয়ে তাঁদের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। তারা বাধ্য হয়ে জঙ্গিদের আশ্রয় দেন। কিন্তু সেক্ষেত্রেও পুলিশ তাঁদের প্রতি সহানুভূতি দেখাচ্ছে না। যদিও কাশ্মীর পুলিশ এদিন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, “আমরা ভাল করেই জানি কারা ইচ্ছা করে সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দেয়, আর কারা বাধ্য হন।” সেই সঙ্গে পুলিশের আশ্বাস, কেউ যদি জঙ্গিদের আশ্রয় দিতে বাধ্য হন তাহলে তাঁকে কোনওরকম শাস্তির মুখে পড়তে হবে না। কিন্তু কেউ স্বেচ্ছায় জঙ্গিদের আশ্রয় দিলেই তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হবে।