সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তখনও নির্বাচন কমিশনের তরফে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়নি। তার আগেই পরিষ্কার হয়ে যায় যে ঝাড়খণ্ডে সরকার গড়ছে কংগ্রেস, জেএমএম (JMM) ও আরজেডি জোট। আর পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিব সোরেনের ছেলে হেমন্ত সোরেন। প্রথমে স্বীকার করতে রাজি না হলেও পরে হার মেনে নিয়ে বিবৃতি দেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস। রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে গিয়ে পদত্যাগপত্রও জমা দেন। অবশ্য তার আগেই হেমন্ত সোরেনকে টুইট করে অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই জয়ের জন্য কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও আরজেডি সু্প্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবকে ধন্যবাদ জানান হেমন্ত। সবসময় পাশে থেকে সমর্থন ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য নিজের বাবা ও জেএমএম সভাপতি শিবু সোরেনের অবদানও স্বীকার করেন। বলেন, ‘আজ থেকে ঝাড়খণ্ডে নতুন যুগের সূচনা হল। একটি নতুন অধ্যায় শুরু হল যা আগামীতে মাইলস্টোনে(milestone) পরিণত হবে।’
ঝাড়খণ্ড নির্বাচনে তাঁর জন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হেমন্ত বলেন, ‘দুটি দলের কাছ থেকে সমর্থন পেয়েছিলাম। তাসত্ত্বেও সবসময় মনে করতাম যে আমাকে একাই লড়াই করতে হবে। তবে শেষপর্যন্ত মানুষ জোটের পক্ষে তার মতামত ব্যক্ত করেছেন। আসলে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। তাই আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষরা তাঁর ওপর প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত ছিলেন। তবে এবার ঝাড়খণ্ডের মানুষের স্বপ্নপূরণের সময় এসেছে। আর এখন থেকেই তা শুরু হয়েছে।’ মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার পর সর্বাধিক গুরুত্ব কীসের ওপর দেবেন? এর জবাবে তিনি বলেন, ‘দূরদৃষ্টি নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে আমাদের। দারিদ্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার দিকেই তাই গুরুত্ব দেব আমরা।’
[আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের পর ঝাড়খণ্ডও হাতছাড়া বিজেপির, সরকারে বসছে কংগ্রেস-জেএমএম জোট]
২০০৯ সালে রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয় ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবু সোরেনের ছেলে হেমন্তের। এরপর ৩৬ বছর বয়সে বিজেপি নেতা অর্জুন মুন্ডা সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, চার বছরের মাথায় ২০১৩ সালে মুন্ডার সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে জেএমএম। এর ফলে ওই বছরের জানুয়ারি মাসে ঝাড়খণ্ডে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়। পরে জুলাই মাসে রাজ্যের সবচেয়ে কনিষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন হেমন্ত সোরেন। তবে ২০১৪ সালে বিধানসভা নির্বাচনে ভোট জিতে মুখ্যমন্ত্রী হন বিজেপির রঘুবর দাস। কিন্তু, পাঁচবছর বাদে ফের বদলে গেল ছবিটা। বিপুল জনাদেশ পেয়ে ঝাড়খণ্ডের ক্ষমতায় এল মহাগঠবন্ধন। আর তার নেতা হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন হেমন্ত সোরেন।
The post ‘সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে গরিবের প্রয়োজন’, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে প্রতিশ্রুতি হেমন্ত সোরেনের appeared first on Sangbad Pratidin.