সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক ব্রিটিশ সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, ভ্লাদিমির পুতিনের পশ্চিমের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে। আর তাতেই মেজাজ হারালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বললেন, ''আমি যতক্ষণ কথা বলছি আপনি চুপ করে থাকুন। ঠিক আছে?''
ঠিক কী বলেছিলেন পুতিন? সম্প্রতি রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, যদি পশ্চিম ইউক্রেনকে রাশিয়ায় হামলা করার জন্য পশ্চিমি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেয়, তার মানে তারা সরাসরি যুদ্ধে নেমে পড়েছে। আর তাহলে যুদ্ধের চরিত্রটাই বদলে যাবে। সেক্ষেত্রে বাধ্যতই 'সিদ্ধান্ত' নিতে হবে রাশিয়াকে। তাঁর কথা থেকে পরিষ্কার, তিনি পশ্চিমি বিশ্বের সঙ্গে সরাসরি লড়াইয়ের ইঙ্গিতই করেছেন। ন্যাটোর সদস্য দেশগুলি অর্থাৎ আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলির নামোল্লেখও করেছেন তিনি। আর সেই প্রসঙ্গেই প্রশ্ন শুনে বাইডেনকে থামিয়ে দিলেন সাংবাদিককে। পরে তাঁর বক্তব্য রাখা শেষ হলে তিনি বলেন, ''আমি পুতিনকে নিয়ে খুব একটা ভাবি না।'' সেই সঙ্গেই বর্ষীয়ান ডেমোক্র্যাট নেতার দাবি, আমেরিকা যেমন ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে, সেভাবেই দাঁড়াবে আগামিদিনেও। তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী, ''পুতিন এই যুদ্ধ জিততে পারবেন না।'' প্রসঙ্গত, আমেরিকা ইউক্রেনকে ৫৫.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক সাহায্য করেছে এই যুদ্ধে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে বিশেষ সামরিক অভিযান ঘোষণা করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাঁধভাঙা জলের জেলেনস্কির দেশে ঢুকে পড়ে রুশ ফৌজ। তার পর থেকে জারি রয়েছে লড়াই। দীর্ঘসময় ধরে যুদ্ধ করার ফলে গত কয়েকমাস ধরে রণক্ষেত্রে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল কিয়েভকে। কিন্তু এখন তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। মাটি কামড়ে রণক্ষেত্রে লড়াই করছে ইউক্রেনীয় সেনা। রাশিয়াকে একচুল জমি ছাড়তে নারাজ তারা। বেশ কিছুদিন ধরে রাশিয়ার কার্স্ক অঞ্চলে ভয়ানক অভিযান চালাচ্ছে কিয়েভ। পালটা মার দিচ্ছে মস্কোও। যেভাবে পুতিন বাহিনী ইউক্রেনে ঢুকে অভিযান শুরু করেছিল এবার সেভাবেই কার্স্কে ঢুকে আক্রমণ শানাচ্ছে ইউক্রেনীয় ফৌজ। ফলে রাশিয়া যে এই মুহূর্তে কিছুটা কোণঠাসা তা পরিষ্কার। এমতাবস্থায় পশ্চিমি বিশ্বের বিরুদ্ধে পুতিনের এই হুংকার যে আসলে একধরনের কৌশল, তাতে নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল।