সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপেক্ষার অবসান। ডার্বির ৪৮ ঘণ্টা আগেই ইস্টবেঙ্গলে সই সাবুদের পালা মিটিয়ে ফেললেন ইস্টবেঙ্গলে যোগ দেওয়া বিশ্বকাপার জনি অ্যাকোস্টা। অর্থাৎ মরশুমের প্রথম ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান দ্বৈরথে তাঁর খেলতে আর কোনও বাধা রইল না।
শহরে পা রাখার পরের দিন থেকেই অ্যাকোস্টাকে নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। নিয়মকানুন মেনে কবে তাঁকে মাঠে নামানো সম্ভব? প্রায় প্রতিটি ম্যাচের আগেই শোনা যাচ্ছিল, এবার হয়তো লাল-হলুদ জার্সি গায়ে নামবেন তিনি। এবার হয়তো ইস্টবেঙ্গল রক্ষণে দেখা যাবে তাঁকে। কিন্তু একটা একটা করে দিন পিছিয়েছে। গত বুধবার জর্জ টেলিগ্রাফের বিরুদ্ধে খেলা তো একপ্রকার নিশ্চিতই হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আইআরটিসি না আসায় তা আর হয়নি।। এমনকী, ম্যাচের আগের রাতে বারোটা পর্যন্ত লাল-হলুদ তাঁবুতে ঠায় বসেছিলেন বিশ্বকাপার। যদি সই করানো সম্ভব হয়। অবশেষে জট কাটল শুক্রবার। শহর জুড়ে যখন ডার্বির টিকিটের হাহাকর পড়ে গিয়েছে, ঠিক তখনই বিকেলে আইএফএ-তে গিয়ে সই করে ফেললেন অ্যাকোস্টা। আর তাতেই খুশির হাওয়া লাল-হলুদ সমর্থকদের মধ্যে। বড় ম্যাচেই ইস্টবেঙ্গলে অভিষেক ঘটবে কোস্টারিকার তারকার।
[ডার্বির টিকিটের হাহাকার, চাহিদা পূরণ না হওয়ায় বিক্ষোভ সমর্থকদের]
ডার্বির আগে জর্জের বিরুদ্ধে কষ্ট করেই জিততে হয়েছে সুভাষ ভৌমিকের দলকে। এক গোল হজম করে শুরুতে পিছিয়েও পড়েছিলেন লালরিন্ডিকারা। তাই রক্ষণ নিয়ে একটা চিন্তা ছিলই। তবে অ্যাকোস্টার খেলা নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় অনেকটাই আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেল লাল-হলুদ শিবিরের। এই রক্ষণে যে বেসামাল হয়ে পড়লে সবুজ-মেরুনের ফরোয়ার্ড লাইন, তেমনটাই আশা লাল-হলুদ সমর্থকদের। আপাতত একই পয়েন্ট দুই প্রধানের। ডার্বি জিতলেই লিগের রং অনেকটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। তাই সব চোখ এখন বিশ্বকাপারের দিকেই।
এদিকে চমক দিয়ে রাতারাতি বিদেশি স্ট্রাইকার এনরিকে এসকুয়েদার সঙ্গেও চুক্তি সেরে ফেলেছে ইস্টবেঙ্গল। তাঁকে দ্রুত শহরে নিয়ে আসার চেষ্টা চালাচ্ছেন ক্লাব কর্তারা। তবে ডার্বিতে তাঁর খেলার কোনও আশা নেই বললেই চলে।
[পর্ষদের পাঠ্যবইয়ে নতুন করে লিখতে হবে স্বপ্নার কাহিনি]
The post অবশেষে ইস্টবেঙ্গলে সই অ্যাকোস্টার, ডার্বিতেই অভিষেক বিশ্বকাপারের appeared first on Sangbad Pratidin.