সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: #MeToo মামলায বড় ধাক্কা খেলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এম জে আকবর। মহিলা সাংবাদিক প্রিয়া রমানির বিরুদ্ধে তাঁর মানহানির মামলা খারিজ করে দিল দিল্লির একটি আদালত। বুধবার এই মামলায় মহিলা সাংবাদিককে বেকসুর খালাস দিয়ে বিচারক সাফ জানান, যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে মহিলাদের।
[আরও পড়ুন: রাজ্যের সব বুথই স্পর্শকাতর! অতীত রেকর্ড দেখে উত্তেজনাপ্রবণ এলাকা বাছবে কমিশন]
২০১৮ সালে #MeToo বিতর্ক ঝড় তুলেছিল সমগ্র দেশে৷ একে একে নাম জড়িয়েছিল রাজনৈতিক মহল থেকে সিনেজগত এবং সংবাদমাধ্যমের তাবড় তাবড় ব্যক্তিত্বদের৷ তখনই আকবরের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন সাংবাদিক প্রিয়া রমানি৷ তাঁর অভিযোগ, প্রায় ২০ বছর আগে বলপূর্বক তাঁকে চুম্বন করার চেষ্টা করেছিলেন আকবর৷ সেই সময় ‘Asian Age’ সংবাদপত্রের সম্পাদক ছিলেন তিনি। এরপর এই বিশিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে একই অভিযোগে সরব হন ২০ জন মহিলা সাংবাদিক৷ তাঁদের স্পষ্ট অভিযোগ, সংবাদমাধ্যমের দায়িত্বে থাকাকালীন তাঁদের যৌন হেনস্তা করেছেন মোদি সরকারের বিদেশমন্ত্রকের এই প্রাক্তন মন্ত্রী। এই অভিযোগের পরই মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেন আকবর৷ পাশাপাশি, তাঁকে ‘এডিটরস গিল্ড অফ ইন্ডিয়া’ থেকেও বরখাস্ত করা হয়। এদিকে, নিজেকে বারবার নির্দোষ দাবি করেছেন আকবর। মুখ বাঁচাতে প্রিয়া রমানির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন তিনি।
এদিন অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রবীন্দ্র কুমার পান্ডে বলেন, “যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে মহিলাদের। এর জন্য তাদের সাজা দেওয়া যায় না। যে কোনও সংশ্লিষ্ট জায়গায় যে কোনও সময় যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে পারেন মহিলারা। তাঁদের এই অধিকার ভারতীয় সংবিধান দিয়েছে। এটা মাথায় রাখতে হবে যে যৌন নির্যাতনের অধিকাংশ ঘটনা বন্ধ দরজার আড়ালে ঘটে। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সমাজে একঘরে হয়ে যাওয়ার ভয়ে মুখ খোলেন না নির্যাতিতারা।” সব মিলিয়ে, #MeToo মামলায় ফের বড় ধাক্কা খেলেন এম জে আকবর।