রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: দিল্লি গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ও সাধারণ সম্পাদক(সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী। মঙ্গলবার রাতেই দিল্লি উড়ে গিয়েছেন বঙ্গ বিজেপির দুই শীর্ষনেতা। নাড্ডার রাজ্য সফরের পরই তাঁদের দিল্লি যাওয়া নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
বঙ্গ সফরে এসে দল সম্পর্কে যা যা রিপোর্ট নাড্ডার কাছে এসেছে, তা নিয়ে সুকান্ত-অমিতাভর সঙ্গে কথা বলতে পারেন তিনি। শুধু তাই নয়, দিল্লিতে অমিত শাহর (Amit Shah) উপস্থিতিতে বাংলায় দলের বেহাল অবস্থা নিয়ে সুকান্ত-অমিতাভর সঙ্গে বৈঠক হতে পারে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের। সেখানে নাড্ডা ও বি এল সন্তোষ থাকবেন। সুকান্ত মজুমদারের অবশ্য দাবি, লোকসভার কমিটির মিটিংয়ে তিনি যাচ্ছেন। দলের বৈঠক কিছু স্থির হয়নি। তাঁর সঙ্গে অমিতাভ চক্রবর্তীর দিল্লি সফর নিয়ে সুকান্তর দাবি, অমিতাভদা (Amitabha Chakraborty) আলাদা কাজে যাচ্ছেন।
[আরও পড়ুন: অশান্তি রুখতে পুলিশমন্ত্রী পদক্ষেপ করছেন না কেন? প্রশ্ন তুলে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট বিজেপির]
তবে শুধু রাজ্য বিজেপির এই দুই শীর্ষ নেতাই নন, দিল্লি গিয়েছেন আরএসএসের (RSS) একাধিক কার্যকর্তা। সংঘেরও নেতাদের কেন দিল্লিতে ডাকা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। দলের মধ্যে জল্পনা, তাহলে কি বঙ্গ বিজেপির সাংগঠনিক বিষয়ে বড় কোনও সিদ্ধান্ত হতে পারে দিল্লিতে। সাংগঠনিক কোনও রদবদল হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।
[আরও পড়ুন: কামারহাটির পথে বেরবে ৩০ ফুটের তিনটি রথ, ভিড় নিয়ে চিন্তায় প্রশাসন]
কারণ, রাজ্য বিজেপিতে মুষল পর্ব অব্যাহত। বিদ্রোহ সর্বত্র। দল ছাড়ছেন অনেকে। সংগঠন ভেঙে চুরমার। এই পরিস্থিতি নাড্ডা রাজ্যে এসে উপলব্ধি করে গিয়েছেন। তাঁর কাছে দলের অবস্থা নিয়ে আলাদা সমীক্ষা রিপোর্ট জমা পড়েছে বলে খবর। পাশাপাশি, পুরনো নেতাদের কোণঠাসা করে যেভাবে শুভেন্দু-সুকান্ত-অমিতাভরা দল চালাচ্ছে তাতে আরএসএসও (RSS) ক্ষুব্ধ। ব্রাত্য করে রাখা হয়েছে দিলীপ ঘোষকেও। বঙ্গ সফর সেরে দিল্লিতে ফিরে গিয়েই তাই সুকান্ত-অমিতাভকে নাড্ডা-সন্তোষরা ডেকে পাঠিয়েছে বলে খবর।