shono
Advertisement

Breaking News

রিপোর্ট হাতে পেয়েই নাড্ডার কাছে বকা খেলেন সুকান্ত, উপভোগ দিলীপ ঘোষের!

জুনে বাংলায় আসছেন নাড্ডা।
Posted: 01:44 PM May 22, 2022Updated: 01:44 PM May 22, 2022

বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: সাংগাঠনিক বৈঠক। প্রতিনিধি চার। সেখানেও গোষ্ঠীকোন্দল প্রকট। তাও আবার কেন্দ্রের হেভিওয়েট নেতাদের সামনে। চোখ এড়াল না জেপি নাড্ডা, বিএল সন্তোষদের। অমিতাভ চক্রবর্তী ও সুকান্ত মজুমদারদের রিপোর্ট হাতে নিয়ে চটে লাল নাড্ডা-সন্তোষরা। আগামী মাসে রাজ্যে আসবেন। জানিয়ে দিলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি। আর বৈঠক শেষ হলেও জয়পুরে বসে পরিস্থিতির উপর নজর রাখলেন সুকান্ত বিরোধী লবির নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ধমক উপভোগ করলেন তাড়িয়ে তাড়িয়ে।

Advertisement

রাজস্থানে কংগ্রেসের উদয়পুরের পর বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক জয়পুরে। শুক্রবার বৈঠকের মূল আকর্ষণ ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বক্তব্য রাখেন জেপি নাড্ডাও। তবে কর্মসমিতির বৈঠকের মূল লক্ষ্য ছিল রাজ্যভিত্তিক সাংগাঠনিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা। এদিন রাতেই আলাদা আলাদা করে রাজ্যের সংগঠনের দায়িত্বে থাকা রাজ্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক করেন নাড্ডা (JP Nadda) ও বিএল সন্তোষরা। বঙ্গ বিজেপির পক্ষ থেকে বৈঠকে ছিলেন সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী। মনগড়া কোনও রিপোর্ট নয়। জেলা ঘুরে নিচুতলার নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে তবেই রিপোর্ট তৈরি করার নির্দেশ দেয় বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। নির্দেশ পেয়েই তড়িঘড়ি জেলা সফরে যান অমিতাভ চক্রবর্তীরা। রিপোর্টও তৈরি করেন।

[আরও পড়ুন: কাটছে ইনভেস্টর জট, সৌরভের হাত ধরে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে গাঁটছড়ার পথে ইস্টবেঙ্গল]

কিন্তু সুকান্ত-অমিতাভর রিপোর্টে নাড্ডা-সন্তোষরা অসন্তুষ্ট বলে সূত্রের খবর। রিপোর্টের বেশ কয়েকটি অংশ নিয়ে প্রশ্ন তোলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। প্রথমত, কমিটি গঠন শুরু হলেই কেন পদত্যাগ ও দল ছাড়ার হিড়িক পড়েছে। দ্বিতীয়ত, বছর ঘুরে গেলেও কেন এখনও মণ্ডল কমিটি গঠন সম্ভব হল না। তাহলে বুথ কমিটি গঠন করতে কতদিন সময় লাগবে। আদৌ রাজ্যের সব বুথে কমিটি গঠন করার মতো কর্মী আছে কি না। তৃতীয়ত, রাজ্যে সরকার বিরোধী আন্দোলন কলকাতা কেন্দ্রীয় হচ্ছে। কেন তা জেলায় ছড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। জেপি নাড্ডাদের এইসব চোখা চোখা প্রশ্নের মুখে রাজ্য বিজেপির (Bengal BJP) দুই শীর্ষ নেতাকে পড়তে হয় বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।

অন্যদিকে, কর্মসমিতির বৈঠকে যোগ দিলেও শনিবার কোনও কারণ ছাড়াই বিকেল পর্যন্ত জয়পুরে থেকে যান দিলীপ ঘোষ। সন্ধ্যার বিমানে কলকাতায় ফেরেন। কেন তিনি কারণ ছাড়াই জয়পুরে থাকলেন তা নিয়ে কৌতূহল বাড়ছে রাজ্য বিজেপিতে। সাংগঠনিক বৈঠকে কী হচ্ছে তা জানার জন্যই দিলীপের অপেক্ষা বলে সূত্রটি জানাচ্ছে।

[আরও পড়ুন: নতুন আতঙ্কের নাম মাঙ্কিপক্স! ১২টি দেশে ছড়িয়েছে সংক্রমণ, সতর্ক করল WHO]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement