সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে (Biplab Deb) নিয়ে বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের কোনও অভিযোগ শুনতে চাইলেন না বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda)। ফলে দিল্লি গিয়েও বিফল হয়েই ফিরতে হল ত্রিপুরার বিধায়ক তথা মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কৃত সদস্য সুদীপ রায়বর্মণ-সহ ৬ জনকে। বিপ্লব দেবের নেতৃত্বের প্রশ্নে কোনও সমঝোতায় রাজি হল না বিজেপি হাইকমান্ড। বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ভি এল সন্তোষের মাধ্যমে এই বার্তা পাঠিয়েছেন নাড্ডা। এমনকী সুদীপ রায়বর্মনকে দল থেকেও বহিষ্কার করা হতে পারে বলে জল্পনা তুঙ্গে।
বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে দিল্লি গিয়েছিলেন সুদীপ রায়বর্মণ (Sudip Roy Barman)-সহ ৬ জন। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে রাজি হননি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। সাধারণ সম্পাদক ভি এল সন্তোষের মাধ্যমে তিনি বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের প্রতি কড়া বার্তা পাঠিয়ে তাঁদের আগরতলায় ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেন। দিল্লিতে বিধায়ক রামপ্রসাদ পাল অবশ্য জানিয়েছেন যে তাঁরা অন্য কাজে দিল্লি এসেছেন, নেতৃত্ব বদল নিয়ে কথা বলতে নয়। তিনি আরও বলেন যে বিজেপি শৃঙ্খলাবদ্ধ দল। এদিকে বিক্ষুব্ধদের প্রতি কড়া বার্তা দিয়েছেন ত্রিপুরার বিজেপি সভাপতি মানিক সাহাও। তিনি বলেছেন, “দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
[আরও পডুন: এবার থেকে হাই স্পিড ট্রেনের সব কোচই এসি! ভাড়া কত বাড়বে, জানাল রেল]
বিক্ষুব্ধ বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মণ কংগ্রেস থেকে তৃণমূল হয়ে পরবর্তী সময়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বিধায়কও নির্বাচিত হয়েছেন। ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীও। কিন্তু এক বছর পরই তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করা হয়। পরপর দলবিরোধী কাজকর্মের অভিযোগে তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়া হয়। এরপরই লড়াই আরও তীব্র করেন সুদীপ রায়বর্মণ। একের পর এক দলবিরোধী কাজের অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। পরে দল বেঁধে দিল্লিতেও যান। কিন্তু সেখানেও তাঁদের গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তাঁরা আগরতলায় ফিরে আসছেন বলে জানা গেছে। দলের এই পরিস্থিতিতে ক্ষুব্ধ নিচুতলার কর্মী, সমর্থকরা। বিক্ষুব্ধ বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে। বহিষ্কার নিয়ে শুরু হয়েছে যাবতীয় জল্পনা। বহিষ্কারের ইঙ্গিত মিলছে দলীয় হাইকমান্ড সূত্রেই।