বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: আইপিএস আধিকারিক যশপ্রীত সিংকে খলিস্তানি বলায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলকে সতর্ক করলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। বুধবার এই দুই নেতাকে সতর্ক করে রাজ্য নেতৃত্বকে বার্তা দেন নাড্ডা, এমনটাই সূত্রের খবর।
প্রথমে বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মুখে কুলুপ আটলেও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান ও রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) কড়া প্রতিক্রিয়া টনক নড়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election) পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় বিরোধীরা ইস্যু করে প্রচার ঝড় তুলতে পারে আশঙ্কায় শুভেন্দু ও অগ্নিমিত্রাকে (Agnimitra Paul) সতর্ক করা হয়েছে জানিয়েছেন দলের এক শীর্ষনেতা। স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে তাঁদের মুখ খুলতে নিষেধ করা হয় বলে সূত্রের খবর।
[আরও পড়ুন: বাড়ির অন্দরে পড়ে চিকিৎসক দম্পতির গলাকাটা দেহ, লেনদেন নিয়ে অশান্তির জের?]
এমনিতেই লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Elections 2024) মুখে কৃষক বিদ্রোহ মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে গেরুয়া শিবিরের। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার একাধিক হেভিওয়েট মন্ত্রীকে ময়দানে নামিয়েও পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এর মধ্যেই মঙ্গলবার সন্দেশখালি যাওয়ার পথে শিখ ধর্মলম্বী আইপিএস অফিসারের উদ্দেশে শুভেন্দু ও অগ্নিমিত্রার মন্তব্যে আগুনে ঘি পড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই দুই নেতার মন্তব্যকে হাতিয়ার করে গর্জে উঠেছেন বিজেপি বিরোধী পঞ্জাবের আপ মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। ধর্মপ্রাণ শিখদের নিয়ে বিজেপির দৃষ্টিভঙ্গি কি তা নিয়ে প্রচার করেন মান। অন্যদিকে, ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা থেকেই এক্স হ্যান্ডেলে রাহুল গান্ধীও বিজেপির বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ করেন। এপরেই নড়েচড়ে বসে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
[আরও পড়ুন: আজব কাণ্ড! খাতার বদলে জমা পড়ল প্রশ্ন, উচ্চমাধ্যমিকের উত্তরপত্র নিয়ে বাড়িতে পরীক্ষার্থী]
বিষয়টি জে পি নাড্ডা (JP Nadda), বিএল সন্তোষ ও সুনীল বনশলরা খোঁজখবর শুরু করেন। সূত্রের খবর, কথা বলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ বেশ কয়েকজন রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে। শুভেন্দু ও অগ্নিমিত্রারা ঠিক কি মন্তব্য করেছিলেন তা জানতে চান। সব জানার পর এই দু’জনকে আরও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। মুখে লাগাম দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে সন্দেশখালি নিয়ে আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়ানোরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে।