গৌতম ব্রহ্ম: এনআরএসের ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলিতে প্রতীকী কর্মবিরতিতে শামিল হলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সোমবার মধ্যরাতে চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগীমৃত্যু অভিযোগে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এনআরএস হাসপাতাল চত্বর। হাসপাতালে রীতিমতো হাতাহাতি হয় জুনিয়র ডাক্তার ও রোগীর পরিজনদের। ঘটনার রোগীর পরিবারের ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জামিন অযোগ্য ধারায় দায়ের করা হয়েছে মামলা। এদিকে এনআরএস কাণ্ডের প্রতিবাদে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যের অন্যন্য সরকারি হাসপাতালগুলিতেও। সকালে এক ঘণ্টা কর্মবিরতিতে শামিল হন জুনিয়র ডাক্তাররা।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার। সেদিন ট্যাংরার বাসিন্দা মহম্মদ সইদ শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগের অসুখ নিয়ে এনআরএস হাসপাতালে ভরতি হন। প্রথমে জেনারেল বেডে রেখেই তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। পরে স্থানান্তরিত করা হয় কার্ডিওলজি বিভাগে। সন্ধে সাড়ে ছ’টা নাগাদ মারা যান মহম্মদ সইদ। অভিযোগ, সোমবার আচমকাই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে এনআরএসের এক ইন্টার্নকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করেন রোগীর আত্মীয়রা। এরপরই হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসক ও রোগীর পরিজনদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। যা হাতাহাতিতেও গড়ায়। বিনা কারণে আক্রমণের অভিযোগ তোলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। রোগীর আত্মীদের আঘাতে এক জুনিয়র ডাক্তার আহত হন। তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। শারীরিক অবস্থা গুরুতর।
[ আরও পড়ুন: সময়ের আগেই জমা পড়তে পারে পে কমিশনের রিপোর্ট! চেয়ারম্যানকে তলব মুখ্যমন্ত্রীর ]
এদিকে আবার নিরাপত্তা দাবিতে রাতে হাসপাতালে গেট বন্ধ করে অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েন এনআরএস হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তাররা। শিকেয় উঠে পরিষেবা। শেষ খবর অনুযায়ী, এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। মঙ্গলবার সকালে এনআরএস হাসপাতালে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা প্রদীপ মিত্র। কিন্তু, তাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। উলটে বেলার দিকে যখন এনআরএস পৌঁছান স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, তখন তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান জুনিয়র ডাক্তাররা। দুপুরে এনআরএস হাসপাতালে যান কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা।
[ আরও পড়ুন: রোগীমৃত্যু ঘিরে ধুন্ধুমার এনআরএসে, হাসপাতালে বিক্ষোভ জুনিয়র ডাক্তারদের ]
The post এনআরএস কাণ্ডের প্রতিবাদ, রাজ্যজুড়ে কর্মবিরতিতে শামিল জুনিয়র ডাক্তাররা appeared first on Sangbad Pratidin.