shono
Advertisement

আর জি কর মেডিক্যালে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি অব্যাহত, চিকিৎসা পরিষেবায় ধাক্কা

চূড়ান্ত ভোগান্তির মুখে রোগীরা।
Posted: 05:23 PM Oct 16, 2021Updated: 05:37 PM Oct 16, 2021

অভিরূপ দাস: পুজো মিটতেই আন্দোলন আরও জোরদার করলেন আর জি কর মেডিক্যাল (RG Kar Medical College) কলেজের জুনিয়র ছাত্ররা। শনিবার থেকে ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরুর পাশাপাশি রাস্তা অবরোধেও নামেন প্রতিবাদীরা। হাতে পোস্টার নিয়ে বেলগাছিয়া ব্রিজে বিক্ষোভ দেখানো হয়। যার জেরে বেশ কিছুক্ষণ আটকে পড়ে যানচলাচল। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, অবিলম্বে অধ্যক্ষকে ইস্তফা দিতে হবে। আর জুনিয়র চিকিৎসকদের এই কর্মবিরতিতে সবচেয়ে বিপাকে রোগীরা। অনেকেই বহু দূর থেকে ডাক্তার দেখাতে আর জি কর হাসপাতালে এসে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন।

Advertisement

সমস্যার সূত্রপাত অক্টোবরের গোড়াতেই। কলেজ কাউন্সিলের ভোটাভুটি, অধ্যক্ষের ইস্তফা-সহ একাধিক দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করে জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের অভিযোগ, কলেজে কোনও সিন্ডিকেট নেই। সামান্য বিষয় নিয়ে বড় বেশি সমস্যা তৈরি করা হচ্ছে। যদিও কলেজ কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে বিশেষ কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। এদিকে সূত্রের খবর, জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে শিগগিরই কলেজের স্টুডেন্টস কাউন্সিল গঠিত হচ্ছে। তার খসড়াও তৈরি। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) নির্দেশে কলেজের ছাত্রছাত্রীদের জন্য ১০ একর জমিতে নতুন হস্টেল তৈরি হবে।

[আরও পডুন: কলকাতার নামী রেস্তরাঁয় খাওয়াদাওয়া চলাকালীন অগ্নিকাণ্ড, ব্যাপক আতঙ্ক মল্লিক বাজারে]

অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ পড়ুয়াদের সঙ্গে বসে তাঁদের বুঝিয়ে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের কথা বলেন। কিন্তু কোনও আলোচনাতেই সুরাহা মেলেনি। কর্মবিরতি চলছে তো চলছেই। বারবার ব্যাহত হয়েছে চিকিৎসা পরিষেবা। পুজোর মধ্যেও আর জি কর হাসপাতালে সেভাবে চিকিৎসা পাননি অনেক রোগীই। যদিও স্বাস্থ্যদপ্তরের নির্দেশিকা অনুযায়ী, পুজোর সময় জরুরি পরিস্থিতিতে সারাদিনই চিকিৎসা পরিষেবার জন্য হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছিল।

[আরও পডুন: প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বাঁধার স্বপ্ন, স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করল স্ত্রী]

এবার পুজো মিটতে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন আরও জোরদার হল। শনিবার রীতিমতো পোস্টার হাতে কলেজ লাগোয়া বেলগাছিয়া ব্রিজের একাংশ অবরোধ করলেন চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ। এই পরিস্থিতিতে নড়েচড়ে বসেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও। কীভাবে প্রতিবাদীদের কাজে ফিরিয়ে হাসপাতালের পরিষেবা অব্যাহত রাখা যায়, সেই চেষ্টা করছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা। কারণ, তা না হলে বারবার চিকিৎসা ব্যবস্থা ধাক্কা খাচ্ছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement