সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'দয়া করে অনশন তুলে কাজে যোগ দাও'। জুনিয়র চিকিৎসকদেক অনুরোধ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আন্দোলনকারীদের দশের মধ্যে ৯ দফা দাবিতে সহমত হয়েছেন তিনি। তার পরেও নিজের অবস্থানে অনড় আন্দোলনকারীরা। অনশন চালিয়ে যাবেন তাঁরা।
শনিবার দুপুরে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনালাপ হয় আন্দোলনকারীদের। সোমবার বিকেলে ফের বৈঠকে বসার ডাক দেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পরেও অনশন তুলছেন না ৮ জুনিয়র ডাক্তার। তাঁদের তরফে রুমেলিকা কুমার বলেন,"আজ শনিবার। আর উনি সোমবার বৈঠক ডেকেছেন। অর্থাৎ, আরও দুদিন বাধ্য হয়েই চালিয়ে যেতে হবে অনশন।" তবে সোমবারই যে অনশন উঠে যাবে, এমন কোনও নিশ্চয়তা তাঁরা দেননি। বরং ওইদিনও দাবি না মানা হলে একই তীব্রতায় আন্দোলন চলবে। একই সঙ্গে আন্দোলনকারীর আক্ষেপ, "মুখ্যমন্ত্রীর কি একবারও মনে হল না এরা আরও দুদিন না খেয়ে থাকবে?"
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথোপকথন নিয়ে কিছুটা হতাশ দেবাশিস-রুমেলিকারা। বলছেন, "আমরা ভেবেছিলাম আজ সব মিটতে চলেছে। কিন্তু উনি বললেন, আজ ব্যস্ত। আমরা সোমবারের অপেক্ষায় থাকব।" তাঁদের আরও সংযোজন, "‘এত দিন ধরে একই দাবি জানিয়েছি। তবু ৭১ দিন পরেও শুনতে হচ্ছে উনি নাকি দাবিগুলি জানেনই না।" প্রশ্ন, "তা হলে কি ওঁকে জানানো হচ্ছে না? এত কষ্ট কি তাঁর কানে পৌঁছচ্ছে না?"
অনশন তুলে কাজে ফেরার আর্জি জানিয়েছেন মমতা। জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রভাব পড়ছে। এনিয়ে ডা. স্নিগ্ধা হাজরা দাবি করেন, "আমরা মাত্র আট জন এখানে অনশনে বসার জন্য স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে? এটা উনি কীভাবে বললেন? উনি দাবি মেনে নিন, তা হলে এখনই কাজে ফিরব আমরা।" সবমিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দাবিপূরণের আশ্বাস দিলেও নিজেদের অবস্থানে অনড়ই জুনিয়র ডাক্তাররা।