ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: দুঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলল বৈঠক। আন্দোলরত ডাক্তারদের প্রতিটি দাবি সহানুভূতির সঙ্গে আলোচনা করলেন মুখ্যসচিব। ডাক্তারদের সমস্ত দাবি মেনে নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিল রাজ্য। তবুও কর্মবিরতি প্রত্যাহার নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারলেন না জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের মতে, যতক্ষণ না সরকারের তরফে এই দাবি পূরণের লিখিত আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত কর্মবিরতি এবং স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান জারি থাকবে।
বুধবার নবান্নের সভাঘরে বৈঠক শুরু হয় সন্ধে সাড়ে সাতটায়। হাজির ছিলেন মুখ্যসচিব, স্বাস্থ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি। নবান্নে বৈঠক চলে ২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে। রাত পৌনে দশটা নাগাদ শেষ হল মুখ্যসচিবদের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের আলোচনা। নবান্ন সূত্রে জানা যায়, জুনিয়র ডাক্তারদের দুটি দাবি মেনে নিল রাজ্য। চিকিৎসা পরিষেবার উন্নতির পাশাপাশি নিরাপত্তা দেওয়া, এবং প্রতিটি কলেজে ভয়ের রাজনীতি বন্ধের দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে সহমত হয়েছে রাজ্য। তবে এই দাবিগুলো কার্যকর করতে কিছুটা সময় চেয়ে নেওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে।
তবে এই আশ্বাস পেলেও আন্দোলন থেকে মোটেই পিছু হঠেননি জুনিয়র ডাক্তাররা। বৈঠক শেষে নবান্ন থেকে তাঁরা পৌঁছে যান অবস্থান মঞ্চে। তার পরে বিবৃতি দিয়ে জানান, সরকারের তরফে সুনির্দিষ্ট লিখিত প্রতিশ্রুতি না পাওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি বা স্বাস্থ্যভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না তাঁরা। বৈঠকে সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তাঁরা। তবে আগামী দিনে জুনিয়র ডাক্তারদের কী পদক্ষেপ হবে, সেই নিয়ে আলোচনা করতে বুধবার রাতেই ডাকা হয়েছে জিবি মিটিং।
যদিও সূত্রের খবর, জুনিয়র ডাক্তারদের অনেকেই কাজে ফিরতে আগ্রহী। জেলার একাধিক মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা ইতিমধ্যেই কাজে যোগ দিয়েছেন। সামনেই অনেকের পরীক্ষা রয়েছে। তবে আর জি কর ইস্যুতে কর্মবিরতি পুরোপুরি প্রত্যাহার হবে কিনা, সেই নিয়ে এখনও পরিষ্কার কিছুই জানা যায়নি।