shono
Advertisement

গড়ে ভাঙন ধরিয়ে কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাতোর শিষ্যই এবার তৃণমূলের প্রার্থী

'আমি মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের আদর্শে বিশ্বাসী', সাফ কথা সুলেমানের। The post গড়ে ভাঙন ধরিয়ে কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাতোর শিষ্যই এবার তৃণমূলের প্রার্থী appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 08:05 PM Apr 11, 2018Updated: 08:20 PM Apr 11, 2018

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: গড়ে ভাঙন ধরিয়ে কংগ্রেস বিধায়ক গুরু নেপাল মাহাতোর শিষ্য এবার তৃণমূলের ভোট প্রার্থী।

Advertisement

‘নেপাল-গড়’ পুরুলিয়ার ঝালদায় ভাঙন ধরানো শেখ সুলেমান এবার ঝালদা এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির এগারো নম্বর আসনের তৃণমূল প্রার্থী। তবে এই ভোটে গুরু নেপাল মাহাতো অবতীর্ন না হলেও ঝালদা এক নম্বর ব্লকে তাঁর দল কংগ্রেসের সঙ্গেই লড়াই তৃণমূল প্রার্থী শেখ সুলেমানের। গত পঞ্চায়েতে এই আসন থেকে লড়াই করেছিলেন তাঁর স্ত্রী হামিদা বানো। হাতের প্রতীকে লড়ে এই পঞ্চায়েত সমিতিতে ২০১৩ সালে বোর্ড গড়ে কংগ্রেস। সহ-সভাপতির পদ পান সুলেমানের স্ত্রী। কিন্তু গুরুর সঙ্গে রাজনৈতিক মতপার্থক্যে এই শেখ সুলেমানই ওই সমিতিকে পালটে দেন। সভাপতি বুলু মুড়া, সহ-সভাপতি হামিদা বানো সহ-কংগ্রসের সাত সদস্য তৃণমূলে চলে আসেন। ফলে ২০১৫ সালের ১১ ডিসেম্বর কংগ্রেস পরিচালিত ঝালদা এক নম্বর ব্লক চলে যায় তৃণমূলের দখলে। শুধু তাই নয়, পরে কংগ্রেসের আরও তিন ও সিপিএমের এক সদস্যকে তৃণমূলে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু এই ভাঙন ব্লক দখলের পরেও শেষ হয় না। ‘নেপাল-গড়ে’ আরও ভাঙন ধরে যখন ঝালদা-দঁড়দা ও হেসাহাতু গ্রাম পঞ্চায়েত কংগ্রেস থেকে তৃণমূলের দখলে চলে আসে। এরপর থেকেই ঝালদায় ‘নেপাল-গড়’ ভাঙন ধরানোর কারিগর হিসাবে পরিচিতি পান এই শেখ সুলেমান। ঝালদার রাজনৈতিক মহলে আচমকা যেন হেভিওয়েট বনে যান তিনি।

[পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয় পেতে ভাইরাল তৃণমূলের উন্নয়ন বার্তা]

তবে এই রাজনৈতিক উত্তরনের জন্য কম কাঠ-খড় পোড়াতে হয়নি তাঁকে। ছাত্রাবস্থায় স্রেফ অর্থের অভাবে থমকে যায় তাঁর লেখাপড়া। তবুও লোহার দোকানে, হোটেলে শিশু শ্রমিকের কাজ করে নিজের লেখাপড়ার খরচ নিজে চালিয়ে মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়েছেন। কিন্তু সেই অর্থই বাধা হয়ে দাঁড়ায় উচ্চশিক্ষায়। এরপর বাবা শেখ আয়ুবের হাত ধরে কংগ্রেসে নাম লেখায় ছেলে সুলেমান। সত্যভামা বিদ্যাপীঠে পড়ার সময় অঙ্কের যে শিক্ষক নেপাল মাহাতোকে দেখেছিলেন সেই শিক্ষকই কংগ্রেস শিবিরে তাঁর রাজনীতির গুরু হয়ে যান। কিন্তু এই রাজনীতিই গুরু-শিষ্যের মধ্যে দূরত্ব গড়ে দেয়। তবে এখন ব্যবসায়ী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত শেখ সুলেমান আজও বলেন, “আমার শিক্ষা গুরু থেকে রাজনৈতিক গুরু নেপাল মাহাতোই। তাই আজও তাঁকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু আমি তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের আদর্শে বিশ্বাসী। তাই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আসি। আর এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থী। ফলে আমার জয় স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। কারণ এই এলাকা জুড়ে শুধুই উন্নয়নের ছবি। যা কংগ্রেস বা বামেরা কেউ করতে পারেনি।”

[প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে তৃণমূলকর্মীকে মারধর, বাড়িতে বোমাবাজি]

আর সেই কারণেই বোধহয় পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা বাঘমুন্ডির বিধায়ক নেপাল মাহাতোর গড়ে এমন ভাঙন ধরাতে পেরেছিলেন এই তৃণমূল প্রার্থী। তাই ২০১৩ সালে ঝালদা এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিতে যেখানে বাইশটি আসনের মধ্যে তৃণমূল ছিল মাত্র চারটি। আজ সমিতিতে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা পনেরো। সৌজন্যে নেপাল শিষ্য শেখ সুলেমান!

The post গড়ে ভাঙন ধরিয়ে কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাতোর শিষ্যই এবার তৃণমূলের প্রার্থী appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement