গোবিন্দ রায়: ফের বিস্ফোরক বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি। বিচারপতির প্রশ্ন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এতো সম্পত্তি কোথা থেকে আসে?” হলফনামা দিয়ে সম্পত্তির খতিয়ান দিন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, দাবি বিচারপতির। সোমবার সন্ধেয় তাঁর এহেন মন্তব্যের পর তৃণমূলের রাজ্য় সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষও পালটা মুখ খোলেন। তাঁর অনুরোধ, “বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে অনেকে ভগবান বলেন। ওঁকে অনুরোধ করব, লোকের প্ররোচনায় দশচক্রে ভগবান ভূত হবেন না। নিজের বিচারপ্রক্রিয়ার মধ্যেই থাকুন, রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়বেন না।”
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা সুদীপ রাহা। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় বলেন, “সুদীপ রাহার নাম শুনিনি। আমায় সন্ত্রস্ত করার চেষ্টা করেছে।” সঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, “আমার মনে হয়, একদল চোর এবার হয়তো সুপ্রিম কোর্টে মামলা করবে। বলবে, আমাদের সম্পত্তি চুরি করে করা। চুরি বন্ধ হলে অসুবিধা হবে। তাই অবাধে চুরি করার অনুমতি চেয়ে মামলা করবে।” এর পরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির পরিমাণ নিয়ে প্রশ্ন করেন বিচারপতি।
[আরও পড়ুন: নবান্নকে ৩ প্রশ্ন রাজভবনের, সিআরপিএফ কর্তার সঙ্গে কথা বলে কী জানতে চাইছেন বোস?]
তাঁর প্রশ্ন,”অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এতো সম্পত্তি কোথা থেকে আসে? যদি হলফনামা দিয়ে জানান তাহলে বাকি নেতা যাঁরা মীনাক্ষীর মতো তাঁদের বলব আপনারাও সম্পত্তির কথা জানান। উনি (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) কি পারবেন? মনে হয় না পারবেন?” দুর্নীতি ঢাকতে রাজ্যের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বলেন, “রাজ্য দুর্নীতি ঢাকতে কত টাকা খরচ করছে? এর পর অফিসিয়ালি জানতে চাইব। বিভিন্ন স্তরের লোকেরা জেলে তাই আমার উপর রাগ।” বিচারপতি সিনহার স্বামীর কণ্ঠস্বর পরীক্ষী প্রসঙ্গেও সরব হন তিনি। বলেন, “বিচারপতি অমৃতা সিনহার স্বামীর কন্ঠস্বরের পরীক্ষা কেন? তিনি তো আসামী নন। কী চলছে আমরা সবাই বুঝতে পারছি! দেখি কদিন হয়!”
বিচারপতির প্রতিক্রিয়ার পরই সরব হন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, বিচারপতি নিজের মামলা, বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলুন। অযথা রাজনীতিতে এক্সপোজ হয়ে যাচ্ছেন। কাকে পছন্দ করেন, কাকে করেন না, বিষয়গুলো সামনে এসে যাচ্ছে। এর পরই বিচারপতিকে তাঁর পরামর্শ, “অনেকে আপনাকে ভগবান বলেন। কথায় আছে দশ চক্রে ভগবান ভূত। অযথা লোকের প্ররোচনায় ভগবান ভূত হয়ে যাবেন না।”