সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: বিসিসিআইয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, জয় শাহ-সহ অন্যান্য মেয়াদ পেরনো কর্তাদের ভবিষ্যৎ কী? ঠিক করতে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে দায়িত্ব দিলেন প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা। বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে তৈরি হওয়া নতুন ডিভিশন বেঞ্চ সৌরভদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। বুধবার এমনটাই জানাল শীর্ষ আদালত। এই ডিওয়াই চন্দ্রচুড় সেই ডিভিশন বেঞ্চের সদস্য ছিলেন, যে বোর্ড লোধা কমিশনের (Lodha Commission) সুপারিশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।
লোধা কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্য সংস্থা বা বিসিসিআইয়ে কেউ টানা ছ’বছর কোনও পদে থাকলে তাঁকে ৩ বছরের জন্য বাধ্যতামূলক ‘কুলিং অফ’ (Cooling-off) পিরিয়ডে যেতে হয়। সেই নিয়ম অনুযায়ী বছর দুই আগেই শেষ হয়েছে বোর্ড সচিব জয় শাহ (Jay Shah) এবং সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কার্যকাল। গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সচিব পদে জয় শাহ (Jay Shah) আসেন ২০১৩ সালে। বিসিসিআইয়ে আসার আগে পর্যন্ত তিনি সেই অ্যাসোসিয়েশনেই ছিলেন। সৌরভও সিএবিতে প্রথমে সচিব, পরে প্রেসিডেন্টের চেয়ারে প্রায় ৫ বছর কাটিয়েছেন। ২০১৯ সালে বোর্ড নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হন তিনি। লোধা কমিশনের আইন মানতে হলে সৌরভ-শাহদের এতদিন পদ ছেড়ে দিতে হত।
[আরও পড়ুন: দিল্লিতেও ‘অপারেশন লোটাস’! বিধায়ক ভাঙাতে ২০-২৫ কোটির প্রস্তাব দিচ্ছে বিজেপি, দাবি আপের]
কিন্তু বোর্ডের তরফে আগেভাগেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে রাখা হয়, যাতে ‘কুলিং অফ পিরিয়ড’ বাতিল করে দেওয়া যায়। বিসিসিআইয়ের (BCCI) যুক্তি ছিল, এত কম সময়ে ভারতীয় ক্রিকেটে কোনও বৈপ্লবিক পরিবর্তন সম্ভব নয়। তাছাড়া তাঁদের কার্যকালের বেশিরভাগ সময়টা করোনা (Coronavirus) মহামারীর আবহেই কেটে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যদি তাঁরা দায়িত্ব ছেড়েও দেন তাতেও বোর্ড অথৈ জলে পড়বে। তাই সব দিক ভেবেচিন্তে ‘কুলিং অফ’ তোলার আবেদন জানানো হয়।
[আরও পড়ুন:ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠের বাড়িতে ইডি অভিযান, উদ্ধার AK 47]
দীর্ঘ টালবাহানার পর বুধবার সেই মামলার শুনানি ছিল শীর্ষ আদালতে। এদিন প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার (NV Ramana) ডিভিশন বেঞ্চ বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে নতুন একটি বেঞ্চ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, লোধা কমিশনের সুপারিশ মেনে বিসিসিআইয়ের নতুন সংবিধানকে যে বেঞ্চ স্বীকৃতি দিয়েছিল, সংবিধান সংশোধনের এই আবেদনও সেই বেঞ্চেরই শোনা উচিত। কিন্তু সেই বেঞ্চের দুই সদস্য ইতিমধ্যেই অবসর নিয়েছেন। তাই সেই বেঞ্চের যে বিচারপতি এখনও কর্মরত, সেই ডিওয়াই চন্দ্রচুড়ের নেতৃত্বে নতুন করে বেঞ্চ গঠন করে এই মামলা এগোবে। অর্থাৎ যে বিচারপতি বিসিসিআইতে লোধা কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করেছিলেন তিনিই এবার সৌরভদের (Sourav Ganguly) ভাগ্য নির্ধারণ করবেন।