গোবিন্দ রায়: নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সমস্ত মামলা নাকি নির্দিষ্ট কোনও মামলা থেকে সরছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, তা নিয়ে দিনভর চলে জল্পনা। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনামা হাতে আসার পর জল্পনার অবসান। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত দু’টি মামলা থেকে সরলেন বিচারপতি। আগের মতো বাকি মামলা শুনবেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
সম্প্রতি শহিদ মিনারে একটি সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইডি ও সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দাবি করেন। তিনি বলেন, মদন মিত্র, কুণাল ঘোষদের দিয়ে জোর করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অভিষেকের নাম বলানোর চেষ্টা করছেন। এরপর নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষের গলাতেও শোনা যায় একই কথা। তিনি দাবি করেন, অভিষেকের নাম বলতে চাপ দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। চিঠির মাধ্যমে অভিযোগও জানান কুন্তল। সেই সংক্রান্ত মামলাতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডি, সিবিআইকে জেরা করতে পারে বলেই জানান অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। ওই মামলায় সওয়াল করেন অভিষেক মনু সিংভি। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চের নির্দেশ অনুযায়ী ওই মামলা থেকে সরানো হয়েছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে।
[আরও পড়ুন: বিতর্কিত সাক্ষাৎকারে কী বলেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়? কুণালই বা প্রশ্ন তোলেন কী নিয়ে?]
এছাড়া বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে মুখ খোলেন। সেই সময় তিনি বলেন, “উনি কিছুই করতে পারবেন না। আমাকে হয়তো মেরে ফেলা হবে। তাতে আমার কিছু যায় আসে না।” এই মন্তব্য নিয়ে পরে আদালতে আলোচনা হয়। তবে সেই সময় বিচারপতি তাঁর মন্তব্যের কোনও ব্যাখ্যা দেননি। তার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানান হয়, এমন মন্তব্য করে থাকলে ওই মামলা শোনার অধিকার হারিয়ে ফেলেছেন বিচারপতি। এই নির্দেশনামা হাতে আসার পর আবারও রাত আটটা নাগাদ সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ বেঞ্চ বসেছে।