shono
Advertisement

২৪ ঘণ্টায় সিদ্ধান্ত বদল! বিধাননগরের বাড়ি ভাঙার নির্দেশে স্থগিতাদেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়েরই

সোমবার বাড়ি ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
Posted: 04:27 PM Oct 17, 2023Updated: 04:27 PM Oct 17, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সিদ্ধান্ত বদল। সোমবার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিধাননগরের ১৬ টি বেআইনি বাড়ি ভেঙে ফেলার। মঙ্গলবার কাউন্সিলরের কাছে পরিবারগুলোর পরিস্থিতি জানতে পেরে সিদ্ধান্ত বদলালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আপাতত বাড়ি ভাঙার নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিলেন তিনি। পুজোর পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।

Advertisement

বিধাননগর সেক্টর ফাইভ এলাকার শান্তিনগরে একটি বহুতল ঘিরে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক রয়েছে। বাড়িটি ‘অবৈধ’ দাবি করে পুরসভার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ এনে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। সেই মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ‌্যায় নির্দেশ দেন, সোমবার দুপুর ১টার মধ্যে ওই নির্মাণ ভেঙে ফেলতে হবে। বাড়িটির জল এবং বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশও বিধাননগর পুরসভাকে দেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে হাই কোর্টে এই ভাঙা নিয়ে প্রাথমিক রিপোর্ট পুরসভাকে জমা দিতে বলা হয়।

[আরও পড়ুন: এবারও পুজো পণ্ড করবে বৃষ্টি ‘অসুর’? হাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে সিঁদুরে মেঘ দেখছে বঙ্গবাসী]

সোমবার সকালে পুরকর্মীরা নির্মাণ ভাঙতে গেলে স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। সে কথা শুনে স্থানীয় কাউন্সিলর চামেলি নস্করকে বিকাল সাড়ে পাঁচটার মধ্যে এজলাসে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন ক্ষুব্ধ বিচারপতি। আদালতে চামেলি নস্কর জানান, গত বছর থেকে তিনি ওই এলাকার কাউন্সিলর হওয়ায় কোনটা আইনি বা বেআইনি নির্মাণ তা জেনে ওঠা এখনও সম্ভব হয়নি। যা শুনে বিচারপতির মন্তব‌্য, ‘‘কাউন্সিলর হয়ে না জানলে আপনি পদে থাকবেন না। ইস্তফা দিয়ে দিন।’’

বিচারপতি, বলেন, ‘‘পুলিশ কী করছে? পুলিশ ব্যর্থ হলে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে নির্দেশ দেব।’’ চামেলিদেবীর আইনজীবী জানান, ওই বাড়ি ভাঙতে বাধা দিচ্ছে বাড়িটির বাসিন্দা ১৬টি পরিবার। মহিলারা প্রবেশ পথে শুয়ে পড়েছেন। যা শুনে বিচারপতি নির্দেশ দেন, মঙ্গলবার সকালে ১৬টি পরিবারকে আদালতে হাজির হতে হবে। তারা আইনজীবী নিয়োগ করে বক্তব্য জানাতে পারবে। সেই মতো মঙ্গলবার আদালতে হাজির হন ওই এলাকার কাউন্সিলর। তিনি পরিবারগুলোর পরিস্থিতি তুলে ধরেন আদালতের সামনে। বিষয়টি জানতে পেরে আবেগপ্রবণ হন বিচারপতি। বদল করেন সিদ্ধান্ত। বলেন, “আমি চাই না পুজোর আগে কারও মাথার উপরের ছাদ চলে যাক।”

[আরও পড়ুন: ফের ভোলবদল! গোর্খাল্যান্ড ইস্যু থেকে সরে উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরব গুরুং]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement