শুভঙ্কর বসু: নন্দীগ্রাম মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ (Justice Kaushik Chanda)। এই মামলা শুনবেন না বলে জানিয়ে দিলেন তিনি। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election 2021) আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। আর তারপর থেকেই নন্দীগ্রাম আসনটি নিয়ে অনেক বেশি হইচই শুরু হয়। ওই কেন্দ্র থেকে নিজেই ভোটে লড়বেন বলেই জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বিজেপির তরফে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন শুভেন্দু অধিকারী। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর গত ২ মে ভোটের ফলপ্রকাশের পর দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ওই আসনে জিতে যান। তবে প্রভাব খাটিয়ে ওই ফল বলেই অভিযোগ তৃণমূলের। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মামলা করা হয়।
বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে কেন সেই মামলা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। প্রশ্ন তুলে হাই কোর্টে আইনজীবীদের একাংশ বিক্ষোভ দেখান। শুধু আইনজীবীরা নন, মুখ্যমন্ত্রীর করা নন্দীগ্রাম মামলার এজলাস নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল নেতাদের একাংশও। তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েন (Derek O Brien) দু’টি ছবি টুইট করেছিলেন। যে ছবিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সভায় দেখা গিয়েছিল বিচারপতি চন্দকে। তাঁদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর মামলা যে বিচারপতির এজলাসে দেওয়া হয়েছে, সেই কৌশিক চন্দ আগে বিজেপির ‘সক্রিয় সদস্য’ ছিলেন। তাই তাঁর এজলাসে নন্দীগ্রাম মামলা উঠলে বিচারব্যবস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
[আরও পড়ুন: তরুণীকে বেঁধে শারীরিক নির্যাতন, ১৫ লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দুষ্কৃতীদের, চাঞ্চল্য গার্ডেনরিচে]
ভারপ্রাপ্ত বিচারপতিকেও সেকথা জানানো হয়। তবে সে বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি। গত ২৪ জুন এই মামলার শুনানিতে ভারচুয়ালি অংশ নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওইদিন মামলা থেকে সরে যাওয়ার কথা জানিয়ে বিচারপতি কৌশিক চন্দের কাছে ইন্টার লোকেটরি আবেদন জানানো হয়। ওইদিন মামলার শুনানি হলেও কোনও রায় দেননি বিচারপতি। এরপর বুধবার নন্দীগ্রাম মামলা শুনবেন না বলে জানিয়ে দিলেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ওই জরিমানার অর্থ জমা দিতে হবে রাজ্য বার কাউন্সিলে। যা পরবর্তীকালে কোভিড চিকিৎসায় ব্যবহৃত হবে।