সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: টানা প্রায় ২১ ঘণ্টা বাড়িতে তল্লাশির পর শুক্রবার ভোরে ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। সকালে তাঁকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর দুপুরে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হবে। রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেপ্তার ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের সঙ্গে মন্ত্রীর যোগ এবং জিজ্ঞাসাবাদে যথাযথ সহযোগিতা না করার অভিযোগে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেপ্তার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে গোটা বিষয়টিকে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ বলে উল্লেখ করে বর্তমান বনমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল (TMC)। তাঁর হয়ে সংবাদমাধ্যম থেকে সোশাল মিডিয়ায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মুখ খুলেছেন দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) থেকে মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
এদিন সংবাদমাধ্যমে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chatterjee) বলেন, “কাউকে গ্রেপ্তার করা মানেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হওয়া নয়। আগেও গ্রেপ্তার হয়েছে। তাঁদের বিচার এখনও চলছে। বিজেপি বুঝতে পারছে বাংলায় তাঁদের অবস্থা ক্রমশ সঙ্গীন হচ্ছে। পরের লোকসভা ভোটে আরও খারাপ হবে। তাই প্রশাসনিক নয়, তদন্তকারী সংস্থাকে এভাবে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল নেতাদের একে একে জেলে পাঠাচ্ছে।” X হ্যান্ডলে কুণাল ঘোষ সরাসরি নিশানা করেছেন বিজেপি ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তাঁর বক্তব্য, “শুভেন্দু ও বিজেপি ‘ওয়াশিং মেশিন’ রাজনীতি করছে। এটা ষড়যন্ত্র। নাহলে এতদিনে শুভেন্দুরই জেলে থাকার কথা।”
এদিকে জ্যোতিপ্রিয়র গ্রেপ্তারি নিয়ে উলটো সুর বিজেপি নেতাদের। দিল্লিতে বসে বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) বক্তব্য, ”কে কে গ্রেপ্তার হবে, তার লম্বা তালিকা তো তৈরিই আছে। আর হবে নাই বা কেন? সাধারণ মানুষের সঙ্গে এত দুর্নীতি করলে গ্রেপ্তার তো হতেই হবে। শুভেন্দু অধিকারীর ক্ষমতা থাকলে তৃণমূলের সব এমপি, এমএলএ-দের সবাইকে জেলে ঢোকাতে পারে।”