সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্ণাটকের পর এবার মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতা দখলের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছে বিজেপি! কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাড়িতে যান জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তখনই দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে যায় যে এবার বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন তিনি। আর তারপরই তাঁকে এই বিষয়ে আস্তে আস্তে মুখ খুলতে শুরু করলেন কংগ্রেস নেতারা। কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপাল যেমন জানিয়ে দিলেন, ‘দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য জ্যোতিরাদিত্যা সিন্ধিয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল। সোনিয়া গান্ধীর নির্দেশেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এতে মধ্যপ্রদেশ সরকারের উপর কোনও প্রভাব পড়বে না। পুরো সময়ই ক্ষমতায় থাকবে।’ আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে হয়তো মন্ত্রিপদের লোভ দেখিয়েছেন, তাই জ্যোতিরাদিত্য এই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে সরাসরি অভিযোগ করলেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরি।
কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করে ইস্তফাপত্র জমা দেওয়ার পরেই নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন জ্যোতিরাদিত্য। সঙ্গে ছিলেন অমিত শাহও। এপ্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে অধীর চৌধুরি বলেন, ‘সিন্ধিয়াজি কংগ্রেস পার্টির বিভিন্ন উচ্চ পদে ছিলেন। সবাই তাঁকে শ্রদ্ধাও করত। মনে হয় মোদিজি তাঁকে মন্ত্রিত্ব পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়েছিলেন। তাতেই ফেঁসেছেন উনি। আমরা জানি তাঁর পরিবার বহু যুগ ধরেই বিজেপির সঙ্গে যুক্ত আছে। তবে এটা আমাদের দলের ক্ষেত্রে খুবই বড় একটা ক্ষতি। এই পরিস্থিতিতে আমি মনে করি না যে মধ্যপ্রদেশে আমাদের সরকার আর ঠিকবে। আসলে আজকের দিনে এটাই বিজেপির রাজনীতি। যারা সবসময়ে বিরোধীদের সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর চেষ্টা করছে।’
[আরও পড়ুন: মোদির গড়েই ধরাশায়ী ABVP, গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ে বড় জয় কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের ]
মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং অভিযোগ করেন, ‘দলত্যাগী কংগ্রেস বিধায়কদের তিনটি চার্টাড বিমানে করে বেঙ্গালুরু নিয়ে গিয়েছে বিজেপি। তার সমস্ত প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। আসলে কমলনাথ মাফিয়াদের বিরদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। তাই মধ্যপ্রদেশের নাগরিকদের জনাদেশের বিরুদ্ধে গিয়ে তাঁর সরকারকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।’
[আরও পড়ুন: মুসলমানের গালে আবির লাগালেন হিন্দুরা, হিংসা পরবর্তী দিল্লি দেখল সম্প্রীতির হোলি]
প্রাক্তন বিদেশ মন্ত্রী নটবর সিং বলেন, ‘জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া যে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন তাতে আমি অবাক হইনি। আমার মনে হয় তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে। যদি তাঁর বাবা মাধবরাও সিন্ধিয়া বেঁচে থাকতেন তাহলে প্রধানমন্ত্রী হতেন।’
The post ‘মন্ত্রিত্বের লোভেই দল ছেড়েছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া’, কটাক্ষ অধীরের appeared first on Sangbad Pratidin.