সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্দু নিপীড়ন নিয়ে উত্তাল বাংলাদেশে ভাইরাল তেরঙ্গা অবমাননার ছবি। ভাইরাল ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সে দেশে এক বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের পদতলে ভারতের জাতীয় পতাকা! যদিও ছবির সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল। তবে এই ছবিতে হাসিনা পরবর্তী ভারত বিদ্বেষের ছবিটা যেন আরও স্পষ্ট হয়েছে। দেশের পতাকার এহেন অপমানে স্বভাবতই গর্জে উঠেছে এপার বাংলা। নিন্দায় মুখর সব মহল। এনিয়ে সোশাল মিডিয়ায় পোস্টের ছড়াছড়ি। দুই বাংলার জনপ্রিয় সঙ্গীতকার কবীর সুমনও এনিয়ে পোস্ট করেছেন। তবে তার সুর খানিকটা ভিন্ন। তিনি মনে করছেন, 'পতাকায় নয় কিছুই শুরু/ পতাকায় নয় শেষ'।
এ প্রসঙ্গের পর পর দুটি পোস্টের একটিতে কবীর সুমন তুলেছেন 'ফেলানি'র প্রসঙ্গ। তাঁর রচনায় উঠেছে পতাকাহীন কোনও নতুন দেশের কল্পনা। তিনি লিখেছেন -
''পতাকার চেয়ে বড় ফেলানির বুক
সেটা তাক করেছিল কার বন্দুক।
কাঁটাতারে ঝুলছিল মেয়েটা আমার
দেশের বুলেট দেশপ্রেমের খামার।
কার দেশ কার ফ্ল্যাগ কার কাঁটাতার
কোথায় রইল ঝুলে ফেলানি আমার।
পরের জন্মে মেয়ে আমি আর তুমি
ফ্ল্যাগহীন কোনও দেশে খুঁজে পাবো ভূমি।''
কবীর সুমনের স্মৃতিতে রয়েছেন বাংলাদেশের শহিদ আবু সঈদও। এই পোস্টের শেষে তাই তাঁর দৃঢ়প্রতিজ্ঞ উচ্চারণ - তিনি কবীর সুমন, পরের জন্মে যে ফেলানির বাবা হবে আর আবু সঈদের মতো ঘাতকের সামনে বুক পেতে দেবে।
পরের আরেকটি পোস্টে পতাকার প্রকৃত রূপ উঠে এসেছে কবীর সুমনের লেখনীতে। সেখানে তাঁর মত,
''কোন্ পতাকায় লাথি দেয় কেউ
কোন্ পতাকায় ফুল
আমার প্রেমের পতাকা তোমার
এলোমেলো হওয়া চুল
পতাকায় নয় কিছুই শুরু
পতাকায় নয় শেষ
আমিই ভারতবর্ষ প্রিয়া
আমিই বাংলাদেশ''
জাতীয় পতাকা অবমাননার প্রতিবাদে এমন প্রেমের গান নিয়ে সমালোচনা কম হচ্ছে না। তবে 'চিরপ্রেমিক' কবীর সুমন আগেও প্রতিবাদের হাতিয়ার হিসেবে প্রেমকে তুলে ধরেছিলেন। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটল না।