shono
Advertisement

‘মমতার পরিবারের কেউ মুখ্যমন্ত্রী হতে আগ্রহী নন’, শাহর পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ ওড়ালেন কল্যাণ

ক্ষমতা থাকলে নন্দীগ্রামে জিতে দেখাবেন। একুশের নির্বাচনের আগে শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন কল্যাণ।
Posted: 05:16 PM Dec 19, 2020Updated: 05:27 PM Dec 19, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের কেউ মুখ্যমন্ত্রী হতে আগ্রহী নন। মেদিনীপুরের সভা থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তোলা পরিবারতন্ত্রের অভিযোগকে নস্যাৎ করে স্পষ্ট একথা জানিয়ে দিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। সঙ্গে ওই মঞ্চ থেকেই বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে একহাত নিলেন তৃণমূল সাংসদ।

Advertisement

এদিন কলেজ ময়দানের সভা থেকে অমিত শাহ বলেন, মা-মাটি-মানুষ তোলাবাজির সরকারে পরিণত হয়েছে। দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরে শুধু ভাইপোই রয়েছেন। কখন ওঁকে মুখ্যমন্ত্রী বানাবেন। এটাই চিন্তা। সেই মন্তব্যের জবাবেই এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের কেউ মুখ্যমন্ত্রী হতে আগ্রহী নন। তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী বানিয়েছে বাংলার মানুষ। মানুষের ভালবাাসায় ওই জায়গাটি পেয়েছেন তিনি। তাই এসব কথায় মানুষকে ভোলানো যাবে না। মিথ্যে কথা বলার সুদক্ষ কারিগর ভারতীয় জনতা পার্টি। ওটা গুন্ডাদের দল।” এরপরই দেশের অর্থনীতি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। বলেন, “অমিত শাহ আপনার লজ্জা করে না? মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার সময় দেশের জিডিপি ছিল ১০.৫ আর এখন তা হয়েছে মাইনাস ৭.৫। আর কত মিথ্যে কথা আর মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেবেন?”

[আরও পড়ুন: আবগারি দপ্তরের ডিজিটাইজেশন, কেন্দ্রের বিচারে ফের সেরার পুরস্কার পেল বাংলা]

মেদিনীপুরের এই মঞ্চে দাঁড়িয়েই অমিত শাহের (Amit Shah) হাত থেকে গেরুয়া পতাকা নিজের হাতে তুলে নেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। আর তারপরই নিজের পুরনো দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। জানান, মমতার সরকারের আমলে বাংলায় কোনও উন্নতি হয়নি। শুভেন্দুর এমন অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে তাঁকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন তোলেন, তাহলে কেন এতদিন দলে ছিলেন? তৃণমূল সাংসদের কথায়, “ফিরে এসে কেন মন্ত্রী হয়েছিলেন? আপনার জন্যই নতুন করে উপনির্বাচন করতে হয়েছিল। তাতে অনেক খরচও হয়েছিল। আপনার লজ্জা করল না এমন অভিযোগ আনতে? আপনি নিজেও তো পরিবহন মন্ত্রী ছিলেন। তখন কি কাজ হয়নি?” এরপরই একে একে তৃণমূল আমলে বাংলায় উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন কল্যাণ। সঙ্গে শুভেন্দুকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন, দলবদল করেছেন। আসন বদল করবেন না। ক্ষমতা থাকলে নন্দীগ্রামে জিতে দেখাবেন। দৃঢ় কণ্ঠে জানিয়ে দেন, একুশের নির্বাচনে ৫০টা আসনও পাবে না বিজেপি। আবার স্বমহিমায় ক্ষমতায় ফিরবে তৃণমূল।

একই সুর শোনা যায় তৃণমূল নেতা মদন মিত্রর গলাতেও। একধাপ এগিয়ে তিনি বলে দেন, আজকের দিনটা তৃণমূল খুব ভালভাবে সেলিব্রেট করবে। কারণ দল থেকে ভাইরাস বিদায় নিয়েছে।

[আরও পড়ুন: শীতবিলাসীদের জন্য সুখবর, মরশুমের শীতলতম দিনে কলকাতায় একধাক্কায় কমল ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement