গোবিন্দ রায়: প্রায় দু'বছর মামলা চালানোর পর মানিকতলায় সাধন পাণ্ডের বিরুদ্ধে দায়ের করা ‘ইলেকশন পিটিশন’ প্রত্যাহারের আবেদন বিধানসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবের। সোমবার তাঁর আইনজীবী আদালতে জানান, মক্কেল ব্যক্তিগত কারণে মামলা তুলে নিতে চান। এদিন এনিয়ে কোনও নির্দেশ দেয়নি আদালত। ৯ মে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। সে দিনই বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন মানিকতলার তৎকালীন বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে। সেই সংক্রান্ত মামলা এখনও বিচারাধীন হাই কোর্টে। এদিকে ওঅ কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের মৃত্যু হয়েছে। জন প্রতিনিধিত্ব আইন বলছে, কোনও বিধায়ক ইস্তফা দিলে বা তাঁর মৃত্যু হলে তার ছমাসের মধ্যে সেই কেন্দ্রে উপনির্বাচন করাতে হয়। কিন্তু সাধন পাণ্ডের মৃত্যুর পর ২ বছর পর হলেও ওই কেন্দ্রে ভোট হয়নি।
[আরও পড়ুন: ‘CAA-তে আবেদন ১০ হাজার মতুয়ার’, দাবি শান্তনুর, ‘মিথ্যা বলছেন’, খোঁচা তৃণমূলের]
মামলার দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও মামলা দায়ের হয়েছিল। সেখানে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়েন কল্যাণ। কারণ তিনি হাই কোর্টে মামলা করলেও শুনানিতে বার বার মুলতবি চাইছিলেন। আর তাতেই ক্ষোভ প্রকাশ করে শীর্ষ আদালত। হাই কোর্টকে নির্দেশ দেয়, দৈনিক শুনানি করে দ্রুত মামলার এর নিষ্পত্তি করতে হবে। ৩০ জুন সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তারই মধ্যে এদিন হাই কোর্টে দায়ের হওয়া 'ইলেকশন পিটিশন’ প্রত্যাহারের আবেদন জানান কল্যাণের আইনজীবী। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত কারণে তাঁর মক্কেল এই মামলা তুলে নিতে চান। তার প্রেক্ষিতেই চূড়ান্ত শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেন, "যেটুকু খবর পেয়েছি ২০২১ সালে সাধন পাণ্ডে বিপুল ভোটে জিতে যান। কল্যাণ চৌবে মামলা করেন। তার পরও পাণ্ডেবাবু মারা যাওয়ার পর মামলা চলছিল। হাই কোর্টে এই পরিস্থিতিতে মামলা নিয়ে জানতে চায়। চৌবে এবার মামলা তুলে নিতে চিঠি দিয়েছে। উপনির্বাচন আটকে রেখেছিল বিজেপি।"