বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: দু-একদিনের মধ্যেই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। তার আগেই শনিবার মধ্যপ্রদেশের ভোট প্রস্তুতি ও প্রার্থীতালিকা চূড়ান্ত করতে কমল নাথ. রণদীপ সুরজেওয়ালাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi), মল্লিকার্জুন খাড়গে ও রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। দলের আভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মিটিয়ে সব পক্ষের জোট বেধে লড়াইয়ের নির্দেশ দেন সোনিয়া। এদিনই আবার উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন বিধায়ক ইমরান মাসুদ কংগ্রেসে যোগ দেন। সাংসদ রাজীব শুক্লার হাত ধরে কংগ্রেসে যোগ দেন ইমরান মাসুদ।
উৎসবের মরশুম কাটলেই পাঁচ রাজ্যের ভোট। তার অনেক আগে থেকেই ভোট প্রস্তুতি চালাচ্ছে কমিশন ও যুযুধান রাজনৈতিক দলগুলি। গত কয়েক মাস ধরেই ভোটমুখী রাজ্যের নেতৃত্বকে নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করে কংগ্রেস হাইকমান্ড। প্রথমে দলের গোষ্ঠীকোন্দল মেটাতে প্রদেশ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে এআইসিসি। এবার প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে বৈঠকে বসেন সোনিয়ারা। গত বিধানসভা থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ করছে হাইকমান্ড।
[আরও পড়ুন: ‘এখনই বেরিয়ে যান, ফিরহাদ আমাদের ভগবান’, CBI হানার বিরুদ্ধে সরব মেয়র অনুগামীরা]
প্রথমত, কমল নাথকেই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী মুখ এবারও লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। দ্বিতীয়ত, গতবার কংগ্রেস সরকার গঠন করলেও কোভিডের সময় দল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেয় বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও বিধায়ক। ‘অপারেশন লোটাস’-এর দায়িত্বে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও তৎকালীন কংগ্রেস সাংসদ ও রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। ফলে মাঝপথেই পড়ে যায় কমলনাথের নেতৃত্বাধীন মধ্যপ্রদেশ সরকার। পিছনের দরজা গিয়ে ক্ষমতার দখল নেয় গেরুয়া শিবির। তাই এবার প্রথম থেকেই সতর্ক কংগ্রেস।
[আরও পড়ুন: ‘গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করব’, হুঙ্কার নেতানিয়াহুর! হামাস-ইজরায়েল সংঘর্ষে মৃত পাঁচশোর বেশি]
শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত চলা বৈঠকে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে এআইসিসি সূত্রে খবর। ভোট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই তালিকা ঘোষণা করা পরিকল্পনা নিয়েছে হাত শিবির।