shono
Advertisement

Kamduni Case: হাই কোর্টের রায় শুনেই জ্ঞান হারালেন কামদুনির প্রতিবাদী মুখ মৌসুমী, হতাশ টুম্পাও

সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ভাবনা টুম্পা-মৌসুমীর।
Posted: 03:01 PM Oct 06, 2023Updated: 05:14 PM Oct 06, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বান্ধবীর নৃশংস মৃত্যুর প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিলেন। আন্দোলন করেছিলেন সুবিচারের আশায় পথে নেমে। গ্রামের দুই বধূ টুম্পা-মৌসুমীই হয়ে উঠেছিলেন চেনা মুখ। দীর্ঘ দশ বছর পর হয়তো বান্ধবী সুবিচার পাবেন, আশা করেছিলেন কামদুনির দুই প্রতিবাদী। অথচ শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাই কোর্টের রায়ে যেন সব শেষ! ফাঁসি রদের নির্দেশে আদালত চত্বরেই জ্ঞান হারালেন মৌসুমী কয়াল। মন ভালো নেই টুম্পারও। কান্নায় ভেঙে পড়েন দুজনই। সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ভাবনা তাঁদের।

Advertisement

মৌসুমী এবং টুম্পা কয়ালদের অভিযোগ, ১৪ জন সরকারি আইনজীবী মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। সরকারের সদিচ্ছার অভাব ছিল। তাই এই রায় বলেই দাবি তাঁদের। মৌসুমী কয়ালের বিস্ফোরক দাবি, শুধুমাত্র অর্থের বিনিময়ে সরকারি আইনজীবীরা ঠিকমতো আইনি লড়াই করেননি। সে কারণেই ফাঁসির সাজা রদ হয়ে গিয়েছে। দীর্ঘ ১০ বছরের লড়াই বৃথা গেল বলেই মনে করছেন কামদুনির দুই প্রতিবাদী। “শয়তানগুলো বেঁচে গেল”, চোখের জল মুছতে মুছতে একথাই বলছেন তাঁরা। আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার শপথও নিচ্ছেন। সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ভাবনা তাঁদের।

[আরও পড়ুন: Newtown Student Death: নিউটাউনে পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু, ভাড়াবাড়ির খাটের নিচে মিলল সুটকেসবন্দি দেহ]

রায় শুনে চূড়ান্ত হতাশ নির্যাতিতার ভাই এবং বাবাও। রায় শুনে অসুস্থ হয়ে পড়েন নির্যাতিতার ভাই। কীভাবে নিম্ন আদালতে ফাঁসির সাজা পাওয়া দোষী বেকসুর খালাস পায়, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সরকারি আইনজীবীদের ভূমিকায় বিরক্ত নির্যাতিতার ভাই। “কলকাতার রাস্তায় ফের কামদুনির প্রতিবাদ জেগে উঠবে”, হুঙ্কার তাঁর। দোষী চারজনের বেকসুর খালাসের নির্দেশে ক্ষোভে ফুঁসছে কামদুনি। এলাকার মেয়ে সুবিচার পেলেন না, আক্ষেপ তাঁদের।

[আরও পড়ুন: কামদুনি গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, বেকসুর খালাস ৪]

দেখুন ভিডিও:

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement