ভারত: ৪৮৭/১০ (ধাওয়ান- ১১৯, পাণ্ডিয়া- ১০৮)
শ্রীলঙ্কা: ১৩৫/১০, (চাণ্ডিমাল- ৪৮) ১৯/১
৩৩৩ রানে এগিয়ে ভারত
দেবাশিস সেন, ক্যান্ডি: টেস্ট দলের নেতা হিসেবে বিরাট কোহলি কেমন? এমন প্রশ্নের উত্তরে দ্বিধাবিভক্ত ক্রিকেটমহল। কেউ বিরাটকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন, তো কেউ বলছেন, এখনই তা বলার সময় হয়নি। আলোচনা যাই হোক, বাস্তব একটাই। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, মহেন্দ্র সিং ধোনিরা যা পারেননি, সেটাই হয়তো হতে চলেছে বিরাট জমানায়। শ্রীলঙ্কার মাটিতে প্রথমবার ঘরের দলকে হোয়াইটওয়াশ করতে চলেছে টিম ইন্ডিয়া। আর সেই ইতিহাস গড়া যে নেহাতই সময়ের অপেক্ষা তা বলা হয়তো একেবারেই বাড়াবাড়ি হবে না।
[শতরান করে ১১ বছর আগের রেকর্ড ভাঙলেন পাণ্ডিয়া]
২০০৩-০৪ মরশুমে অস্ট্রেলিয়া প্রথমবার শ্রীলঙ্কাকে তাদের মাটিতে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জিতেছিল। এবার সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে চলেছে বিরাটবাহিনী। রবিবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিনেই সে ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়ে উঠল। কলম্বো হোক বা ক্যান্ডি, শ্রীলঙ্কান ব্যাটিং অর্ডারে কোনও পরিবর্তন ঘটল না। শামি, কুলদীপ যাদবের বোলিং ঝড়ের সামনে কোনও রক্ষণই গড়ে তুলতে পারলেন না করুনারত্নে, থারাঙ্গারা। একা চণ্ডিমালই যা একটু লড়াই দিলেন। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হল না। জাদেজার পরিবর্তে দলে যোগ দেওয়া চায়নাম্যান কুলদীপই চারটি উইকেট তুলে নেন। দুটি করে উইকেট অশ্বিন ও শামির। এক মুহূর্ত দেরি না করে ফলো-অন করানোর পথেই হাঁটেন ক্যাপ্টেন কোহলি। এ যেন বৃহদাকার গোলিয়াথের মুখের সামনে এসে পড়েছে ডেভিড। ব্যাটে-বলে কোনওভাবেই গোলিয়াথকে কাবু করা যাচ্ছে না। ভারতীয় দলের পাহাড় প্রমাণ রানের সামনে অতি ক্ষুদ্র দেখাচ্ছিল শ্রীলঙ্কার স্কোর। ঠিক যেন কলম্বো টেস্টের পুনরাবৃত্তি। দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেও সজোরে ধাক্কা।
দিনের শেষে ১ উইকেট খুইয়ে চাণ্ডিমালদের ঝুলিতে এল ১৯ রান। এরপর ম্যাচ যে আর চতুর্থ দিনেও গড়াবে না, সে কথা কোনও শ্রীলঙ্কা ভক্তও চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারেন।
[শুরুতেই ধাক্কা, কলকাতা লিগে পাঠচক্রের কাছে মুখ থুবড়ে পড়ল মহামেডান]
ভারতের ভিত পক্ত করে দেওয়ার কাজটা যেমন প্রথম দিন করেছিলেন ধাওয়ান, তেমন দ্বিতীয় দিন তাক লাগালেন তরুণ তুর্কি হার্দিক পাণ্ডিয়া। প্রথম ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে লাঞ্চের আগে ১০৭ রান করার নজির গড়লেন তিনি। বল হাতেও একটি উইকেট তুলে নেন। তৃতীয় তথা শেষ টেস্টে ইতিহাস গড়ার হাতছানি ছিল ভারতের সামনে। কিন্তু সেসব মাথায় না নিয়েই খেলতে চেয়েছিলেন বিরাট। অতীতের ভুল শুধরে সেটাই করছে মেন ইন ব্লু। এবারও হয়তো ইনিংসেই হারতে চলেছে ঘরের দল। তাই এ কাহিনির শেষে যে গোলিয়াথকে হারিয়ে ডেভিডের জয় পাওয়া একপ্রকার অসম্ভব, তা বলাইবাহুল্য।
The post হোয়াইটওয়াশ শুধু সময়ের অপেক্ষা, ইতিহাসের দোরগোড়ায় ভারত appeared first on Sangbad Pratidin.