সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কার্গিল বিজয় দিবসের (Kargil Vijay Diwas) মঞ্চ থেকে অগ্নিবীর প্রকল্প নিয়ে বিরোধীদের তুলোধোনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, "ক্ষুদ্র ব্যক্তিস্বার্থে কিছু মানুষ জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে রাজনীতি করছে। সেনার স্বার্থে অগ্নিপথ খুব গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার।"
বিজয় দিবসের ২৫ বছর পূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) গিয়েছেন কার্গিলের দ্রাসে। সেখানে সেনা জওয়ানদের সাক্ষী রেখেই প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, "সেনার জন্য অগ্নিপথ ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার। কয়েক দশক ধরে এটা নিয়ে সংসদে আলোচনা হয়েছে। বহু কমিটি তৈরি হয়েছে। সেই সব কমিটি সেনাকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য এই ধরনের সংস্কারের প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছিল। ভারতীয় সেনার জওয়ানদের গড় বয়স বিশ্বের অন্য সব দেশের সেনা জওয়ানদের গড় বয়সের থেকে বেশি হওয়ায় উদ্বেগ তৈরি হচ্ছিল অনেক দিন ধরেই। কিন্তু সদিচ্ছার অভাবে এই ধরনের কোনও পদক্ষেপ করতে পারেনি আগের সরকারগুলি।"
[আরও পড়ুন: ‘শান্তি রক্ষার স্বার্থেই নাম লেখার নির্দেশ’, কানোয়ার যাত্রার নেমপ্লেট বিতর্কে সাফাই যোগীর]
প্রধানমন্ত্রীর যুক্তি, সেনায় তারুণ্যের প্রয়োজন, প্রাণশক্তির প্রয়োজন। তাই অগ্নিবীরের মতো যুগান্তকারী পদক্ষেপ করা হয়েছে। অথচ কিছু মানুষ এই নিয়ে রাজনীতি করছে। মোদির বক্তব্য, "দুর্ভাগ্যজনকভাবে কিছু মানুষ জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যু নিয়েও রাজনীতি করছে। ক্ষুদ্র ব্যক্তিস্বার্থে এই রাজনীতির খেলা। এই লোকগুলি তাঁরাই যারা আগে একের পর এক দুর্নীতি করে দেশের সেনাবাহিনীকে দুর্বল করছে। এরাই সেই মানুষ যারা বায়ুসেনাকে আধুনিক বিমান পর্যন্ত কিনতে দেয়নি।"
[আরও পড়ুন: বাংলার প্রতি বঞ্চনাই হাতিয়ার, মমতার লিখিত বক্তব্য গেল নীতি আয়োগে]
উল্লেখ্য, সেনাবাহিনীর (Indian Army) লোকবল অক্ষুন্ন রেখে আধুনিকীকরণের স্বার্থে অগ্নিপথ প্রকল্প ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। এর মাধ্যমে সেনায় অস্থায়ীভাবে ৪ বছরের জন্য কর্মী নিয়োগ হচ্ছে। যাদের পোশাকি নাম ‘অগ্নিবীর’। চার বছরের মেয়াদ শেষে ১০ শতাংশ অগ্নিবীরকে স্থায়ী কমিশন দেওয়া হবে বলে সেসময় ঘোষণা করে কেন্দ্র। বাকি ৯০ শতাংশ অগ্নিবীরের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত ছিল। সেনাতে ‘পার্ট-টাইম’ নিয়োগ নিয়ে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হয়েছে লোকসভা নির্বাচনে। একাধিক রাজ্যে ধাক্কা খেতে হয়েছে শাসকদলকে।