সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জমি দুর্নীতি মামলায় জড়াতে চলেছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। কর্নাটকের রাজ্যপাল থাওয়ারচন্দ গহলৌত বিচার প্রক্রিয়া শুরুর অনুমোদন দিয়েছেন। সিদ্দারামাইয়ার দপ্তরের তরফে বিষয়টির সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত করেছে।
ঠিক কী অভিযোগ বর্ষীয়ান রাজনীতিকের বিরুদ্ধে? আগেই জমি দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল সিদ্দারামাইয়ার স্ত্রী পার্বতী ও শ্যালক মল্লিকার্জুনের বিরুদ্ধে। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিন সমাজকর্মী। দাবি করা হয়, মাইসুরু নগরোন্নয়ন দপ্তর তথা মুডার জমি বিতরণ করা হয়েছে বেআইনি ভাবে। আর এই মামলাতেই এবার মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরুর অনুমোদন দিলেন কর্নাটকের রাজ্যপাল।
[আরও পড়ুন: কমিশনকে স্বস্তি, নির্বাচনী তথ্য প্রকাশে কোনও নির্দেশ দিতে নারাজ শীর্ষ আদালত]
এদিকে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন সিদ্দারামাইয়া। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি দাবি করেন, রাজ্যপালের এহেন সিদ্ধান্ত সংবিধান-বিরোধী এবং আইনবিরোধী। বিরোধীরা ইস্তফার দাবি তোলা প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ''এই নিয়ে আদালতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আমার পদত্যাগ করার কোনও প্রশ্নই নেই।''
যদিও এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি। কর্নাটকের (Karnataka) বিজেপি (BJP) সভাপতি বি ওয়াই বিজয়েন্দ্রর দাবি, সিদ্দারামাইয়ার আত্মীয়রা দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন এবং কংগ্রেস সরকারের সমস্ত দুর্নীতিরই যথাযথ তথ্য রয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে সিদ্দারামাইয়া বুঝিয়ে দিতে চান তাঁকে নড়ানোর সাধ্য কারও নেই।
[আরও পড়ুন: আর জি করের প্রতিবাদে সরকারি পুজো অনুদান প্রত্যাখ্যান একাধিক ক্লাবের, কড়া প্রতিক্রিয়া কুণালের]
এদিকে কর্নাটকের কংগ্রেস নেতৃত্ব পালটা প্রশ্ন তুলেছে, আগের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী ও প্রাক্তন মন্ত্রী শশীকলা জোলে ও মুরুগেশ নিরানির বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরুর ক্ষেত্রে অনুমোদন দিতে বিলম্ব করেছিলেন রাজ্যপাল। আর এক্ষেত্রে, ভিত্তিহীন অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও দ্রুত অনুমোদন দিলেন তিনি। 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' চক্রান্তের শিকার হচ্ছেন সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah)।