সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজস্থান, গোয়ার পর কর্ণাটকের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও (Karnataka Gram Panchayat Election) বিজেপি সমর্থিত প্রার্থীদের জয়জয়কার। ফলাফলের প্রাথমিক ট্রেন্ড অনুযায়ী, দক্ষিণের এই রাজ্যটির অর্ধেকের বেশি গ্রাম পঞ্চায়েত একাই দখল করতে চলেছে বিজেপি (BJP)। অনেকটা পিছিয়ে দ্বিতীয় কংগ্রেস। এইচ ডি কুমারস্বামীর জেডিএস তৃতীয় স্থানে।
কর্ণাটকের ৫ হাজার ৭৬২টি পঞ্চায়েতের প্রায় ৭০ হাজার আসনের মধ্যে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিজেপি এগিয়ে আছে ৫ হাজার ৩৪২টি আসনে। অর্ধেকের কিছু বেশি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস (Congress)। এই মুহূর্তে তাদের দখলে ১ হাজার ৫৮২টি আসনে। জেডিএসের (JDS) দখলে ১ হাজার ৩৪১টি আসন। গত ২২ এবং ২৭ ডিসেম্বর কর্ণাটকের ২২৬টি তালুকার ৫ হাজার ৭৬২টি পঞ্চায়েতে ভোটগ্রহণ হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে একটি জেলা বাদে সবগুলিতেই ভোট হয়েছে ব্যালটে। তাই ফলাফল স্পষ্ট হতে হয়তো সন্ধে পেরিয়ে যাবে। প্রসঙ্গত, কর্ণাটকের পঞ্চায়েত নির্বাচন কোনও দলীয় প্রতীকে হয় না। সেদিক থেকে দেখতে গেলে, এই ফলাফলকে কোনও নির্দিষ্ট দলের সাফল্য বা ব্যর্থতা হিসেবে বর্ণনা করাটা ঠিক হবে না। তবে, সব দলই নিজেদের তৃণমূলস্তরের সংঠন মজবুত করার জন্য নিজেদের মতো প্রার্থী দেয়। এবং তাঁরা অঘোষিতভাবে দলের প্রার্থী হিসেবেই লড়াই করেন।
[আরও পড়ুন: ‘রাহুলের চেয়ে চাষবাসটা ঢের ভাল বুঝি, আমি কৃষক পরিবারের সন্তান’, খোঁচা রাজনাথের]
পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই অভাবনীয় সাফল্যে নিঃসন্দেহে উচ্ছ্বসিত কর্ণাটক বিজেপি। কারণ, বছর দেড়েক আগেও রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস-জেডিএস জোট। সেই জোট সরকারের পতনের পর বিরোধীরা যে কার্যত ছত্রভঙ্গ সেটা এদিনের ফলাফলেই স্পষ্ট হল। তাছাড়া এই ফলাফলের আরও একটা তাৎপর্যপূর্ণ দিক হল, কর্ণাটকে অন্তত কৃষি আইনের কোনও বিরূপ প্রভাব পড়েনি। পঞ্চায়েত নির্বাচন সাধারণত গ্রামাঞ্চলে হয়ে থাকে। কৃষি আইন (Farm Laws) নিয়ে কৃষকদের অসন্তোষ থাকলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তার প্রভাব পড়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই পঞ্চায়েত স্তরেই দেখা যাচ্ছে বিজেপি সমর্থিতদের জয়জয়কার। যদিও কংগ্রেসের দাবি, রাজ্য সরকার পুলিশ প্রশাসন এবং সরকারি ক্ষমতা ব্যবহার করে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাফল্য পাচ্ছে।