সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যতদিন না হিজাব সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে, ততদিন হিজাব-সহ কোনও ধরনের ধর্মীয় পোশাক পরা যাবে না স্কুল ও কলেজে। গত ১০ জানুয়ারিতে এই নির্দেশ জারি করেছিল কর্ণাটক হাই কোর্ট (Karnataka High Court)। বুধবার সেই নির্দেশকে উদ্ধৃত করে আদালত জানিয়ে দিল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্দেশ দিলে ইউনিফর্ম পরতে হবে পড়ুয়াদের। তবে এইসঙ্গে জানানো হল, স্কুল-কলেজে ধর্মীয় পোশাকের নিষেধাজ্ঞা শুধুমাত্র পড়ুয়াদের জন্যে, শিক্ষকদের ক্ষেত্রে তা কার্যকর হবে না।
হিজাব মামলায় এদিনের শুনানিতে আদালত দু’ পক্ষের বক্তব্য শোনে। উল্লেখ্য, প্রধান বিচারপতি ঋতু রাজ অবস্থির (Ritu Raj Awasthi) কাছে এই বিষয়ে আরও একটি মামলা উঠেছে, যেখানে বলা হয়েছে, কোনও কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও ধর্মীয় পোশাক খুলতে জোর করা হচ্ছে। এই বিষয়ে আদালত জানায়, যে অভ্যন্তরীণ নির্দেশ আদালত দিয়েছে তা কেবল মাত্র পড়ুয়াদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট করে দেন, কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যদি ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে ইউনিফর্ম পরার নির্দেশিকা জারি করে, তবে তা মানতে হবে পড়ুয়াদের। সেটা ডিগ্রি কলেজ হোক বা পিইউ কলেজ।
[আরও পড়ুন: সিবিএসই-সহ সব কেন্দ্রীয় বোর্ডের পরীক্ষা হবে অফলাইনেই, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট]
উল্লেখ্য, হিজাব বিতর্কে কর্ণাটকে অশান্তি ছড়ানোর পর স্কুল-কলেজে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। গত ১০ জানুয়ারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। ওইদিনই জানানো হয়, যতক্ষণ না বিষয়টিj নিষ্পত্তি হচ্ছে ততদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব-সহ কোনও ধরনের ধর্মীয় পোশাক পরে আসা যাবে না। এদিকে কয়েকদিন আগে কর্ণাটকের একটি বেসরকারি কলেজের অতিথি অধ্যাপক ইস্তফা দেন। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁকে হিজাব পরে কলেজে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: ‘মমতার সঙ্গে সম্পর্কে কোনও অবনতি হয়নি’, গুঞ্জনের মধ্যেই মুখ খুললেন প্রশান্ত কিশোর]
প্রসঙ্গত, কর্ণাটক সরকার গত ৫ ফেব্রুয়ারি একটি নির্দেশিকা জারি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। তার পর থেকেই সেরাজ্যে হিজাব ইস্যুতে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিশেষ করে উদুপ্পি জেলায় বিক্ষোভের জেরে স্কুল-কলেজগুলি রীতিমতো রণক্ষেত্রের রূপ ধারণ করেছিল। বিক্ষোভের জেরে বেশ কয়েকদিন স্কুল-কলেজ বন্ধও রাখতে হয় কর্ণাটক সরকারকে। সরকারের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করেন কয়েকজন মুসলিম পড়ুয়া। বর্তমানে ওই মামলারই শুনানি চলছে কর্ণাটক হাই কোর্টে।