সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি ডায়বেটিসের রোগী, ওষুধপত্রে বিস্তর খরচ। অতএব, প্রাক্তন স্ত্রীকে খোরপোশ দেওয়া সম্ভব না। কর্ণাটক হাই কোর্টে (Karnataka High Court) বিচ্ছেদের মামলায় এমনটাই জানান এক ব্যক্তি। যদিও এই যুক্ত খারিজ করে দিয়েছে আদালত। বিচারপতির বক্তব্য, ডায়বেটিস বা মধুমেহ বড় অসুখ নয়। এর সঙ্গে খোরপোশ না-দিতে পারার কোনও সম্পর্ক নেই। ফলে স্ত্রীকে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে দিতেই হবে আবেদনকারীকে।
বেশ কিছু দিন আগে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে মামলাকারীর। পরিবার আদালত তাঁকে মাসে ১০ হাজার টাকা করে খোরপোশ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। এর বিরুদ্ধেই কর্ণাটক হাই কোর্টে মামলা করেন ওই ব্যক্তি। তিনি জানান, ডায়বেটিসের কারণে প্রচুর টাকা ওষুধের পিছনে খরচ হয় তাঁর। ফলে মাসে ১০ হাজার টাকা করে খোরপোশ দিতে পারবেন না তিনি। তাছাড়া প্রাক্তন স্ত্রী চাকরি করেন, সেকথাও আদালতকে জানান।
[আরও পড়ুন: সীমা হায়দারের পুনরাবৃত্তি? কোলের সন্তান নিয়ে স্বামীর জন্য ভারতে বাংলাদেশি যুবতী]
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির নাবালক সন্তানও রয়েছে। সে মায়ের কাছেই থাকে। মামলাকারীর যুক্তি, প্রাক্তন স্ত্রী সন্তানের ব্যয়ভার নিতে সক্ষম। যদিও বিচারপতি জানান, মামলাকারীর এই দাবির স্বপক্ষে আদালতের কাছে কোনও তথ্য নেই। বিচারপতি কৃষ্ণা এস দীক্ষিতের পর্যবেক্ষণ, “মধুমেহ বড় অসুখ নয়। এই অসুখে অনেকেই ভোগেন। নিয়মিত চিকিৎসায় অসুখ নিয়ন্ত্রণ করাও সম্ভব। এর সঙ্গে খোরপোশ না-দিতে পারার কোনও সম্পর্ক নেই।”