অর্ণব আইচ: কসবার ভুয়ো টিকা কাণ্ডে (Kasba Fake Vaccination Case) দেবাঞ্জন দেবকে জেরা করে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল পুলিশ। আপাতদৃষ্টিতে মেধাবী পড়ুয়া দেবাঞ্জন কীভাবে ‘প্রতারক’ হয়ে উঠল তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। আর্থিক তছরুপের জেরে ধৃতের বিরুদ্ধে নিউ মার্কেট থানায় একটি পৃথক FIR হয়েছে। এছাড়া মুচিপাড়া থানায় দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (Indian Medical Association)। সোনারপুর থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন বিধায়ক লাভলি মৈত্রও। এদিকে, দেবাঞ্জনের এক সহযোগীকে আটক করেছে পুলিশ। রামলীলা পার্কের বাসিন্দা শান্তনু মান্না নামে ওই ব্যক্তি নিজেকে দেবাঞ্জনের অফিসের ম্যানেজার বলে দাবি করত। দেবাঞ্জনের তালতলার গুদামেও চলছে জোর তল্লাশি। সূত্রের খবর, সেখান থেকে বেশ কয়েকটি ভায়াল পাওয়া গিয়েছে।
টানা দশদিন ধরে কসবায় করোনার টিকাকরণ শিবিরের আয়োজন করেছিল দেবাঞ্জন দেব। ওই টিকাকরণ শিবির থেকে টিকা নেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)। তবে মেসেজ না আসায় সন্দেহ হয় তাঁর। কলকাতা পুরসভায় বিষয়টি জানান। তাতেই কসবায় ভুয়ো টিকাকরণ শিবিরের পর্দাফাঁস হয়। সামনে আসে দেবাঞ্জন দেবের ‘কীর্তি’। ইতিমধ্যেই তাকে বেশ কয়েকবার দফায় দফায় জেরা করেন পুলিশ আধিকারিকরা। তাতেই জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভার নামে বেআইনিভাবে অ্যাকাউন্ট খুলেছিল দেবাঞ্জন। তদন্তে এই বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসার পরই নিউ মার্কেট থানায় দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে একটি পৃথক FIR দায়ের হয়েছে।