সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড (Kasba Fake Vaccine Case) নিয়ে তোলপাড় সর্বত্র। মুখে মুখে চলছে দেবাঞ্জন দেবের কীর্তি নিয়ে আলোচনা। তবে এই কাণ্ডই জন্ম দিল টুইট ডিলিট বিতর্কের। আর সেই বিতর্ককে হাতিয়ার করেই আসরে নেমেছে বিজেপি। শুরু শাসক-বিরোধী কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি।
সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসে দেবাঞ্জনের দেবের (Debanjan Deb) ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড। কসবার ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে অভিযুক্তের টিকাকরণ কর্মসূচির ক্যাম্প থেকে ভ্যাকসিন নেন যাদবপুরে তৃণমূলের তারকা সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। মেসেজ না আসায় কলকাতা পুরসভায় জানান মিমি। তারপর ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের পর্দাফাঁস হয়। তদন্তে নেমে দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য পায় পুলিশ। নিজেকে যুগ্ম কমিশনার পরিচয় দিয়ে সর্বত্র যে সে জালিয়াতির জাল বিস্তার করেছিল তা জানা যায়। আর এই ঘটনাতেই লেগেছে রাজনীতির রং। তালতলার রবীন্দ্র ফলকে উল্লেখ রয়েছে দেবাঞ্জনের নাম। একই সারিতে জ্বলজ্বল করতে দেখা গিয়েছে ফিরহাদ হাকিম, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, অতীন ঘোষের নামও। যদিও ফলক কে কোথায় লাগাচ্ছে, তা জানা সবসময় কলকাতার পুরসভার পক্ষে সম্ভব নয় বলেই দাবি করেছেন অতীন ঘোষ এবং ফিরহাদ হাকিম। ওই বিতর্কিত ফলকটি যদিও পুরসভার তরফে ভেঙে ফেলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বিন্দলের অপসারণ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টকে চিঠি, রাজ্য বার কাউন্সিলের বিরোধিতা বিকাশ ভট্টাচার্যের]
ফলক বিতর্কের পর এবার সামনে এসেছে টুইট (Tweet) ডিলিট বিতর্ক। কলকাতা পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি রক্তদান শিবিরের (Blood Donation Camp) ছবি শেয়ার করেছিল। যাতে মঞ্চে বসে থাকতে দেখা গিয়েছিল দেবাঞ্জন দেবকে। ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড মাথাচাড়া দেওয়ার পর বিতর্ক এড়াতে ওই টুইটটি ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গকে হাতিয়ার করে আসরে বিজেপি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় টুইট করেছেন। প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশে টুইট ডিলিট করা হয়েছে বলেই দাবি তাঁদের। যদিও এ প্রসঙ্গে এখনও তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এদিকে, ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে রহস্যভেদ করতে দেবাঞ্জনকে দফায় দফায় জেরা করছেন তদন্তকারীরা। রবিবার রাতে হোসেপুরের বাড়িতে দেবাঞ্জনকে সঙ্গে নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে পুলিশ।