সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একসময় অসহিষ্ণুতা ছিল। কিন্তু আজ পরিস্থিতি বদলেছে। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে কোনও ভাবেই কাশ্মীর গাজার সঙ্গে তুলনীয় নয়। আর এই পরিবর্তনের রূপকার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এমনই দাবি করলেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের প্রাক্তন সহ সভাপতি শেলা রশিদ। বছরের শুরুতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি দিয়েছিলেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা। সেনা-বিরোধী টুইট করার অভিযোগ রয়েছে শেলার বিরুদ্ধে। সেই শেলার মুখেই এবার সরকারের প্রশস্তি।
সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের সঙ্গে কথা বলার সময় শেলা এই মতামত জানিয়েছেন। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, একদা কাশ্মীরে পাথর নিক্ষেপকারীদের প্রতি তাঁর সহানুভূতি ছিল কিনা। তিনি বলেন, ”হ্যাঁ ছিল। ২০১০ সালে। কিন্তু আজ আমি বর্তমান পরিস্থিতির প্রতি অনেক বেশি কৃতজ্ঞ। কাশ্মীর গাজা নয়। এটা সত্যিই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। কাশ্মীর একসময় বিক্ষোভ, বিদ্রোহ ও অনুপ্রবেশের বিক্ষিপ্ত ঘটনায় জড়িয়ে গিয়েছিল।”
[আরও পড়ুন: রাহুল ‘মূর্খের সর্দার’! ভোটপ্রচারে কংগ্রেস নেতাকে তীব্র কটাক্ষ মোদির]
সেই সঙ্গেই শেলার দাবি, এই পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর জন্যই। তাঁর কথায়, ”কাউকে না কাউকে এই ক্ষত মেরামত করতেই হত। এবং সেজন্য আমি অবশ্যই কৃতিত্ব দেব বর্তমান সরকারকে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। ওঁরা এই সমস্যার একটা রাজনৈতিক সমাধান করেছেন। আমি এটাকে বলব রক্তপাতহীন সমাধান।” উল্লেখ্য, এর আগে আগস্টেও মোদি সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন শেলা। উপত্যকায় মানবাধিকার পরিস্থিতির যেভাবে উন্নতি হয়েছে সেজন্য বর্তমান প্রশাসনকে কৃতিত্ব দিতে দেখা দিয়েছিল তাঁকে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে সেনা-বিরোধী টুইট করার অভিযোগে শেলার বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ ধারায় মামলা রুজু হয়েছিল। বরাবরই মোদি সরকারের বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিল করা হয়েছিল। সেই সময় মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বারংবার ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গিয়েছিল শেলাকে। আজ তাঁর মুখেই মোদি সরকারের প্রশস্তি।