সংবাদ প্রতিডিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্কে জড়াল সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অফ কাশ্মীর। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে ভারতের জাতীয় সংগীত চলাকালীন বসে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।
ঘটনাটি ঘটে ৪ জুলাই। সেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভোকেশন ছিল। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীই উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান চলার সময় নিয়ম মতো বেজে ওঠে ভারতের জাতীয় সংগীত। দেখা যায়, অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রায় সব পড়ুয়াই জাতীয় সংগীতকে শ্রদ্ধা জানাতে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু কয়েকজন পড়ুয়া উঠে দাঁড়ায়নি। যতক্ষণ জাতীয় সংগীত চলেছে, বসেই ছিলেন তাঁরা। পড়ুয়াদের এমন কাজে বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
গত বছর নভেম্বর মাসে ঠিক এমনই একটি ঘটনা ঘটেছিল কাশ্মীরে। সেবার ঘটনাস্থল ছিল রাজৌরির বাবা গুলাম শাহ বাদশা বিশ্ববিদ্যালয়। ওই কলেজের বিশেষ এক অনুষ্ঠানেই বাজছিল জাতীয় সংগীত। উপস্থিত ছিলেন জম্মুর রাজ্যপাল এন এন ভোরা। প্রায় সব পড়ুয়াই সে সময় উঠে দাঁড়ান। কিন্তু ব্যতিক্রম ছিলেন ওই দুই ছাত্র। তাঁরা বসেই থাকেন। বরং যাঁরা দাঁড়িয়ে আছেন, তাঁদের নেপথ্যে রেখে সেলফি তুলতে শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই এ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। স্বাভাবিকভাবেই প্রচণ্ড সমালোচিত হন ওই দুই পড়ুয়া।
[ মানবিকতার নজির, দুর্যোগের দিনে হাজার দরিদ্রকে খাবার বিতরণ ডাব্বাওয়ালাদের ]
অভিযোগ ওঠে, যাঁরা সম্মান জানিয়ে উঠে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের পিছনে রেখে ছবি তুলে কটাক্ষ করেছেন ওই দুই ছাত্র। সেই সময় প্রিভেনশন অফ ইনসাল্ট টু ন্যাশনাল অনার অ্যাক্টের সেকশন-৩’র আওতায় ওই দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। ভিডিও দেখে তাঁদের চিহ্নিত করে খতিয়ে দেখা হয় পুরো ঘটনা। কেন তাঁরা জাতীয় সংগীতকে সম্মান না জানিয়ে বসে থাকলেন, তাও জানার চেষ্টা চলে। এই ঘটনার পর সোশ্যাল সাইটে বিতর্কের বন্যা বয়ে যায়। ব্যক্তিস্বাধীনতা স্বেচ্ছাচারের পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে সমালোচনায় সরব হয় নেটদুনিয়া।