সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চারধামের অন্যতম কেদারনাথ মন্দিরে ২২৮ কেজি সোনা চুরির বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন উত্তরাখণ্ডের শঙ্করাচার্য অবিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী। তাঁর মন্তব্যে তুমুল বিতর্কের মাঝেই এবার এই ইস্যুতে মুখ খুললেন বদ্রীনাথ-কেদারনাথ মন্দির কমিটির সভাপতি অজেন্দ্র অজয়। শঙ্করাচার্যের অভিযোগ খণ্ডনের পাশাপাশি তাঁর সমালোচনায় সরব হলেন তিনি। চাইলেন প্রমাণ।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শঙ্করাচার্য অবিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতীর ব্যাপক সমালোচনা করেন অজেন্দ্র অজয়। তিনি বলেন, "আমি স্বামী অবিমুক্তেশ্বরানন্দকে সম্মান করি। কিন্তু উনি নিজের মর্যাদা নষ্ট করে দিনভর সাংবাদিক বৈঠক করে চলেছেন। বিতর্কিত তৈরি করা, উত্তেজনা তৈরি করা ওনার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। যদি সোনা চুরি হয়ে থাকে তবে উনি তার প্রমাণ দিন।" অজেন্দ্র বলেন, নিজেদের রাজনৈতিক অভিসন্ধি পূরণ করতে এই সোনা চুরির গল্প ফেঁদেছিল কংগ্রেস। এখন স্বামী অবিমুক্তেশ্বরানন্দ এই মন্তব্য করে আসলে কেদারনাথ মন্দিরের মর্যাদা নষ্ট করছেন।
এই বিতর্কের সূত্রপাত দিল্লির বুকে কেদারনাথ মন্দির নির্মাণকে ঘিরে। রাজধানীতে এই মন্দির তৈরির তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। এদিকে এই মন্দির নির্মাণের বিরোধিতায় সরব হন স্বামী অবিমুক্তেশ্বরানন্দজি। তিনি বলেন, ''কেদারনাথ মন্দির দিল্লিতে তৈরি করা যায় না। ১২টি সংজ্ঞায়িত জ্যোতির্লিঙ্গ রয়েছে। এগুলির অবস্থান ঠিক করা আছে। এটা ভুল হচ্ছে। কেদারনাথে ২২৮ কেজি সোনা নিয়ে চুরি হয়ে গিয়েছে। কেউ এটা নিয়ে মাথা ঘামায় না। এখনও কোনও তদন্ত শুরু হয়নি। এর জন্য দায়ী কে? এখন বলছে দিল্লিতে কেদারনাথ তৈরি করবে। এটা হতে পারে না। সেখানে কেলেঙ্কারি করার পর দিল্লিতে কেদারনাথ মন্দির তৈরি করা হচ্ছে। এরপর, এখানে আরেকটি কেলেঙ্কারি হবে।'' শঙ্করাচার্যের এহেন মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক চরম আকার নয়।
[আরও পড়ুন: কেজরির জামিন মামলা, প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রসঙ্গ তুলে সরব আইনজীবী]
উল্লেখ্য, কেদারনাথ মন্দিরে সোনা কেলেঙ্কারি নিয়ে বিতর্ক চরম আকার নিয়েছিল গত বছর। অভিযোগ ওঠে, মন্দিরের গর্ভগৃহে সোনার প্রলেপ দেওয়ার কাজ চলছিল, তবে সোনার বদলে সেখানে পিতলের প্রলেপ দেওয়া হয়। এই কাজে ১২৫ কোটি টাকার বড়সড় দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন কেদারনাথ মন্দিরের বরিষ্ঠ পুরোহিত। এর পরই শোরগোল পড়ে গোটা দেশে। যদিও মন্দির কমিটির তরফে সেই অভিযোগ পুরোপুরি খারিজ করা হয়। এবার সেই ইস্যুতে নতুন করে তৈরি হল বিতর্ক।