সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাংসারিক প্রয়োজনে ব্যাংক থেকে লোন নিয়েছিলেন। সেই লোন শোধ করার জন্য টাকার প্রয়োজন ছিল। তবে প্রয়োজনমতো টাকা জোগাড় করতে পারছিলেন না স্বামী। বাধ্য হয়ে চাকরি জোগাড় করেন স্ত্রী। তবে স্ত্রীর চাকরি চাননি যুবক। ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। স্ত্রী যুবকের কথা না শোনায় কপালে জুটল বেদম মার। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল অত্যাচারের ভিডিও। কেরলের ঘটনায় শেষমেশ গ্রেপ্তার অভিযুক্ত।
কেরলের তিরুঅনন্তপুরমের বাসিন্দা দিলীপের সঙ্গে বেশ কয়েক বছর আগে সাতপাকে বাঁধা পড়েন। দিব্যি চলছিল সংসার। তবে সংসারের খরচ চালাতে গিয়ে আর্থিক সংকট তৈরি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যাংক থেকে কিছু টাকা লোন নেন দিলীপ ও তার স্ত্রী। টাকা শোধ করছিলেন তারা। তবে মাঝে সমস্যা হয়। টাকা শোধ করে সংসারের খরচ সামলাতে সমস্যা হচ্ছিল। বাধ্য হয়ে একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি নেন বছর সাতাশের গৃহবধূ।
[আরও পড়ুন: গা ঢাকা দিয়েও হল না শেষরক্ষা, ৩ দিন পর গ্রেপ্তার অভিনেত্রী বৈশালীর প্রতিবেশী যুবক]
তারপর দাম্পত্য উষ্ণতা হারাতে শুরু করে। দু’জনের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকত। যুবকের দাবি, স্ত্রী চাকরি করতে পারবেন না। তার চাকরি ছেড়ে পক্ষে বারবার সওয়াল জানাতে থাকেন দিলীপ। তবে স্বামীর দাবিতে কান দিতে নারাজ ওই তরুণী। কথা কাটাকাটি চলার মাঝে স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করে দিলীপ। মারধরের সময় ভিডিও করে সে। ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারও করে। তাতেই সকলের নজরে আসে গৃহবধূর নাক, মুখ ফেটে গিয়েছে। রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটেছে।
তরুণী পুলিশের দ্বারস্থ হন। স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭, ৪৯৮(এ), ৩২৩ এবং ২৯৪ (বি) ধারায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে দিলীপকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।