সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বউকে বড় ভয়! আর স্ত্রীর ভয়েই নাকি এতদিন গা ঢাকা দিয়েছিলেন! দেড় বছর পর লোকসমক্ষে এসে এমনই দাবি করলেন এক ব্যক্তি। না নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
ঘটনা কেরলের ইডুক্কি জেলার এক গ্রামের। পুলিশ জানিয়েছে, কেরলের পাথানামথিট্টা জেলার বাসিন্দা নওশাদ গত দেড় বছর ধরে নিখোঁজ ছিলেন। ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে নিজের ভাড়া বাড়ি থেকে হঠাৎই উধাও হয়ে যান তিনি। সেখান থেকে পালিয়ে ওই জেলারই এক ফার্মহাউসে দিনমজুর হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন। নিখোঁজ হওয়ার পর নওশাদের বাবা পুলিশের দ্বারস্থ হন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নামে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় নওশাদের স্ত্রী আফসানাকে।
[আরও পড়ুন: ‘বই লিখে কী লাভ?’ লেখালেখি থেকে অবসর নেবেন তসলিমা! পোস্ট ঘিরে জল্পনা]
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁর স্ত্রী দাবি করেন, নওশাদকে তিনি খুন করে পুঁতে দিয়েছেন। এমন দাবির পরই আফসানাকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে নওশাদের দেহের খোঁজ শুরু হয়। কিন্তু কোথাও তাঁর দেহ পাওয়া যায়নি। পুলিশকে ভুল পথে চালনা করার জন্য আফসানাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঠিক তার দিন দুয়েক পরই খোঁজ মেলে নওশাদের। আফসানা অবশ্য গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই নিজের অবস্থান থেকে সরে এসে জানিয়েছিলেন তিনি নওশাদকে সম্প্রতি দেখতে পেয়েছেন। যদিও তাঁর দাবি তখন মানা হয়নি। ভাবা হয়েছিল, নিজের অপরাধ লুকোতেই এহেন কথা বলছেন তিনি। তবে সত্যিই নওশাদ সামনে আসায় ঘটনার মোড় ঘুরে যায়। কিন্তু কেন তিনি প্রায় দেড় বছর লুকিয়ে ছিলেন?
নওশাদ জানান, কয়েকজন লোকজন এসে একদিন হঠাৎই তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। কেন তাঁকে মারধর করা হচ্ছে জানতে চাইলে, তাঁরা বলেন, আফসানা তাঁদের পাঠিয়েছেন নওশাদকে মারতে। তাই স্ত্রীর ভয়েই এহেন কাণ্ড ঘটিয়েছেন। কিন্তু তাঁর স্ত্রী কেন না করা ‘অপরাধ’ নিজের কাঁধে নিলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।