সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্ষণ ও ব্ল্যাকমেলের অভিযোগে গ্রেপ্তারি এড়াতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কেরলের চার ধর্মযাজক। তাদের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। সুপ্রিম কোর্টের আবেদন জানিয়েছিল দুই অভিযুক্ত। কিন্তু, তাতেও লাভ হল না। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে আত্মসমর্পণ করতেই হল। কেরলের স্থানীয় আদালতে আত্মসমর্পণ করল মালাংকার অর্থোডক্স সিরিয়ান চার্চে দুই যাজক ফাদার সোনি ভার্গেস ও ফাদার জইশ কে জর্জ।
[সুখবর, এবার রেলে আরপিএফ নিয়োগে ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের আওতায় মহিলারা]
খ্রিস্টানদের জীবনে চার্চের গুরত্ব অপরিসীম। ধর্মীয় রীতি মেনে যেমন চার্চে প্রার্থনা করতে যান তাঁরা, তেমনি আবার প্রভু যিশুর সামনে গোপন স্বীকারোক্তিও দেন অনেকেই। কেরলের মালাংকার অর্থোডক্স সিরিয়ান চার্চে গোপন স্বীকারোক্তি দিয়ে বিপদে পড়েছেন মধ্য তিরিশের এক বিবাহিত মহিলা। ওই মহিলার অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরে গোপন স্বীকারোক্তিকে হাতিয়ার তাঁকে ধর্ষণ করেছে চার্চের চার ধর্মযাজক। শুধু তাই নয়, ব্ল্যাকমেলও করা হয়েছে। নির্যাতিতার দাবি, ইন্টারনেটে অশ্লীল ভিডিও আপলোড করেছে অভিযুক্তেরা। সেই ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করা হত তাঁকে। গত ২ জুলাই ফাদার সোনি ভার্গেস-সহ চার্চের চার অভিযুক্ত ধর্মযাজকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে কেরল পুলিশে ক্রাইম ব্রাঞ্চ। দু’জনকে গ্রেপ্তারও করা হয়। ধর্ষণে অভিযুক্তদের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় কেরল হাই কোর্ট। সু্প্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় দুই যাজক ফাদার সোনি ভার্গেস ও ফাদার জইশ কে জর্জ। কিন্তু, তাদের আইনি রক্ষাকবচ দিতে অস্বীকার করে দেশের শীর্ষ আদালতও। বরং দু’জনেই স্থানীয় আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন বিচারপতি। সোমবার তিরুবনন্তপুরমের একটি আদালতে আত্মসমর্পণ করল ফাদার সোনি ভার্গেস ও ফাদার জইশ কে জর্জ।
চার্চে গোপন স্বীকারোক্তি দিতে গিয়ে যাজকদের হাতে মহিলাদের যৌন নিগ্রহের ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। এরআগেও একাধিক এমন অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে চার্চে গিয়ে গোপন স্বীকারোক্তির প্রথা তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন। চার্চ তো বটেই, এই দাবির বিরোধিতা করেছেন ধর্মপ্রাণ খ্রিস্টানরাও।
[ স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা মাতাবে বাংলার আদিবাসীদের হাতপাখা]
The post মহিলাকে ধর্ষণ ও ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ, কেরলে আত্মসমর্পণ দুই ধর্মযাজকের appeared first on Sangbad Pratidin.