সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলা, অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, মহারাষ্ট্রের পর এবার কেরল (Kerala)। সিবিআইকে দেওয়া ‘জেনারেল কনসেন্ট’ বুধবার প্রত্যাহার করল পিনারাই বিজয়নের বাম সরকার। যার অর্থ, এবার থেকে আর চাইলেই কেরলে গিয়ে যে কোনও মামলার তদন্ত করতে পারবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। প্রত্যেকটি মামলার জন্য আলাদা আলাদা করে অনুমতি নিতে হবে রাজ্য সরকারের কাছে।
সম্প্রতি সোনা পাচার কাণ্ডে বিপাকে পড়েছে কেরল সরকার। সেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে সিবিআই। যতদিন যাচ্ছে ততই কেরলে উচ্চপদস্থ আধিকারিক থেকে নেতামন্ত্রী ও তাঁদের আত্মীয়দের নাম জড়াচ্ছে এই ঘটনায়। যার জেরে মুখ পুড়ছে বাম সরকারের। সম্ভবত সেকারণেই সিবিআইকে দেওয়া ‘জেনারেল কনসেন্ট’ কেরল সরকার তড়িঘড়ি প্রত্যাহার করে নিল বলে মনে করছে বিরোধীরা।
[আরও পড়ুন : ‘ফেমাস’ হওয়ার চেষ্টা, শিখদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থের পাতা ছিঁড়ে রাস্তায় ছড়িয়ে ধৃত যুবক]
এই সিদ্ধান্তের জেরে এবার থেকে কেরলে সিবিআই DSPE অ্যাক্টের অন্তর্ভুক্ত হল। এর ফলে রাজ্যে কর্মরত কোনও সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে তদন্ত করতে চাইলেও রাজ্য সরকারের অনুমতি নিতে হবে সিবিআইকে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর সেই অনুমতির পুনর্নবীকরণও করাতে হবে।
সিবিআইকে ব্যবহার করে কেন্দ্রীয় সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছে, বারবার এই অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। সেই প্রক্রিয়া রুখতেই ২০১৮ সালে বাংলা, অন্ধ্রপ্রদেশ এই নিয়ম এনেছিল। ২০১৯ সালে কংগ্রেস ছত্তিশগড়ে ক্ষমতায় আসার পর তাঁরাও একই পথে হেঁটেছে। ২০২০ সালে এই আইন কার্যকর করেছে রাজস্থানের অশোক গেহলটের সরকার ও মহারাষ্ট্রের জোট সরকার। এবার সেই পথেই হাঁটল বামশাসিত কেরলও।