সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোনা পাচারের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে নানা কৌশল নেয় পাচারকারীরা। কখনও অন্তর্বাসের ভিতর আবার কখনও পায়ুপথে লুকিয়েও সোনা পাচারের কথা শোনা যায়। তবে সেসব প্রক্রিয়া অনুসরণ করেও অনেক সময় পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। তাই অভিনব পদ্ধতিতে সোনা পাচারের চেষ্টা করল এক যুবক। যদিও শেষরক্ষা হয়নি।
কেরলের (Kerala) কান্নুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে সোনা পাচার (Gold Smuggling) হওয়ার কথা আগেই গোপন সূত্রে খবর পায় এয়ার ইনটেলিজেন্স ইউনিট। তাই চতুর্দিকে কড়া নজরদারিই ছিল। তবে তা সত্ত্বেও প্রথমে পাচারকারীকে দেখে কিছু বুঝতে পারেননি আধিকারিকরা। পরে যদিও যুবকের আচরণেই সন্দেহ হয়।
[আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপে ফাঁদ পাতছে হ্যাকাররা! এই মেসেজে সাড়া দিলেই সর্বনাশ]
স্রেফ সন্দেহের বশে ওই যুবককে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তল্লাশিও করা হয়। প্রথম ধাপের তদন্তে যদিও রক্ষা পায় সে। তবে অভিজ্ঞ আধিকারিকের জিনস (Jeans) দেখেই সন্দেহ হয়। পরীক্ষা করে দেখা যায় ওই জিনসেই লুকিয়ে রয়েছে সমস্ত রহস্য। কারণ, ওই যুবক জিনসের প্যান্টের দু’টি স্তরের মাঝে সোনা গলিয়ে পেস্ট তৈরি করে ঢেলে দেয়। তারপর তা পরে নেয়। ভেবেছিল অভিনব কায়দা রপ্ত করেই সোনা পাচারে সমর্থ হবে সে। তবে তা হল না। পরিবর্তে হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় সে। ৩০২ গ্রাম সোনা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যার বাজারদর প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা।
তবে তদন্তকারীদের মতে, এ কৌশল অভিনব ঠিকই। তবে একেবারে প্রথম যে এই যুবক সোনাপাচারে এমন কৌশল অবলম্বন করল তা নয়। কারণ, অমৃতসরেও ঠিক একই পদ্ধতিতে সোনা পাচারের চেষ্টা করে এক ব্যক্তি। সে অবশ্য জিনসের বদলে অন্তর্বাসকে সোনা পাচারের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করেছিল। ওই ব্যক্তির কাছে প্রায় ৭৮ লক্ষ টাকার সোনার বাজেয়াপ্ত করেছিলেন আধিকারিকরা।