সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়ল মোস্ট ওয়ান্টেড ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গি আরিজ খান। বুধবার রাজধানীতে আরিজ খান ওরফে জুনেইদকে গ্রেপ্তার করল দিল্লি পুলিশের বিশেষ শাখা। পাঁচ পাঁচটি বিস্ফোরণ মামলার অভিযোগ রয়েছে এই জঙ্গির বিরুদ্ধে। ২০০৮ সালে বাটলাহাউস গুলির লড়াই থেকে পালিয়ে বাঁচে আরিজ খান। তারপর থেকেই আরিজের খোঁজে তক্কে তক্কে ছিল পুলিশ। গা-ঢাকা দেওয়ার পর সীমান্ত টপকে নেপালে পালিয়ে গিয়েছিল আরিজ। এদিকে পলাতক জঙ্গির গ্রেপ্তারির কথা স্বীকার করেছেন দিল্লি পুলিশের বিশেষ শাখার ডিসিপি। ২০০৮-র পর এটিই বড়সড় মাপের গ্রেপ্তারি। যেখানে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের হোতা ধরা পড়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন ডিসিপি খুশওয়াহা।
[সাহস থাকে তো সীমান্তে দাঁড়িয়ে লড়াই করুন ভাগবত, আক্রমণাত্মক ওয়েসি]
২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটে রাজধানীর পাহাড়গঞ্জ, বারখাম্বা রোড, কনৌট প্লেস, গ্রেটার কৈলাস ও গোবিন্দপুরিতে। বিস্ফোরণের জেরে ৩০জনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছিলেন ১০০ জন। বিস্ফোরণের হোতা ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন। এই ঘটনার ঠিক ছ’দিনের মাথায় পুলিশ-জঙ্গির গুলির লড়াই হয় বাটলা হাউস ও জামিয়া নগরে। এই লড়াইতে প্রাণ হারান ইনস্পেক্টর মোহনচাঁদ শর্মা। পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় সন্দেহভাজন দুই মুজাহিদিন জঙ্গির। সুযোগ বুঝে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যায় আরিজ খান। এরপরেই নিরুদ্দিষ্ট জঙ্গির খোঁজে চিরুনি তল্লাশি শুরু করে দিল্লি পুলিশের বিশেষ শাখা। মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গিকে ধরতে পুরস্কারও ঘোষণা হয়। জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফে আরিজের মাথার দাম নির্ধারিত হয় ১০ লক্ষ টাকা। এই জঙ্গিকে খুঁজে দিলে দিল্লি পুলিশের তরফে মিলবে পাঁচ লক্ষ টাকা। এদিকে বিস্ফোরণের পরে পরেও আরও এক লক্ষ টাকার পুরস্কারও ঘোষণা হয়েছিল।
এই ঘটনার পরে প্রায় ১০ বছর কেটে গিয়েছে। কোনওভাবেই গোয়েন্দা বা দিল্লি পুলিশ কোনও তরফই এই বিস্ফোরণ মাস্টারের টিকি ছুঁতে পারেনি। উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ের বাসিন্দা আরিজ খান একজন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র ছিল। পড়াশোনা মাঝপথে বন্ধ করে দিয়ে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনে নাম লেখায়। দিল্লি, আমেদাবাদ, জয়পুর মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে পাঁচটি বিস্ফোরণের মামলা ঝুলছে। সম্প্রতি জঙ্গি আবদুল সুভান কুরেশিকে গুজরাটের ধারাবাহিক বিস্ফোরণে প্রধান অভিযুক্ত করেছে পুলিশের বিশেষ শাখা। এই ঘটনার পরেপরেই আরিজ খানের গ্রেপ্তারি তাৎপর্যবাহী বৈকি। চলতি বছরে একের পর এক জঙ্গি গ্রেপ্তারিতে সফল বিশেষ শাখার দিল্লি পুলিশ। এর আগে ২২ জানুয়ারি দিল্লির গাজিপুর থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিল ভারতের বিন লাদেন, কুরেশি।