স্টাফ রিপোর্টার: দু’জন নয়, একজন কোচ রাখা যে কোনও দলের পক্ষে ভাল বলে মনে করছেন এডু। ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডার মনে করছেন, দু’জন কোচ রাখলে দলের মধ্যে একটা মতানৈক্য দেখা দেয়। যা দলের পক্ষে মোটেই ভাল হতে পারে না।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার ইস্টবেঙ্গলের গেট টুগেদার। সেই অনুযায়ী সকলের আসার কথা ছিল। কিন্তু দুপুর সাড়ে বারোটাতেও অনেকেই ছিলেন গরহাজির। কোচ খালিদ জামিল এলেও বেশ খানিকক্ষণ দেখা যায়নি টিডি সুভাষ ভৌমিককে। তিনি অবশ্য জানালেন, তাঁর সঙ্গে আগে থেকেই ডাক্তারের দেখা করার কথা ছিল। তাই এলেও দেরি হবে। শেষমেশ এলেন। তবে কোনও বৈঠক হল না। আসলে এই গেট টুগেদারের মাধ্যমে ভবিষ্যতের বার্তা দলের সামনে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন ক্লাবকর্তারা। তবে এদিন কোচ নিয়ে কোনও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করা হয়নি। অর্থাৎ আসন্ন মরশুমে লাল-হলুদ কোচিংয়ের দায়িত্বে কে থাকবেন, খালিদ, সুভাষ নাকি অন্য কেউ, তা এখনও স্পষ্ট হল না। তবে এডুকে আগামী বছর ক্লাব রাখছে না। তা জেনে গিয়েছেন লাল-হলুদের ডিফেন্ডার। তাই তিনি সামান্য হলেও হতাশ।
[জন্মদিনে মাস্টার ব্লাস্টারকে ‘অপমান’ অজি ক্রিকেট বোর্ডের, ক্ষুব্ধ নেটিজেনরা]
আসলে ফিফার সেকেন্ড উইন্ডো যখন খোলে তখন তাঁকে ইউক্রেনের একটা ক্লাব নিতে চেয়েছিল। তখন তিনি লাল-হলুদের ভরসায় যাননি। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল মুখ ঘুরিয়ে নিতেই তিনি ফাঁপড়ে পড়েছেন। বুঝতে পারছেন না কোনদিকে যাবেন। তবে এডু জানিয়ে দিলেন, এসব নিয়ে তিনি বিশেষ চিন্তিত নন। বলেও ফেললেন, “আমি এসব নিয়ে ভাবছি না। জানি ঠিক একটা দল পেয়ে যাব। আসলে খুব আশা করেছিলাম, ইস্টবেঙ্গল আমাকে রাখবে। তাই সেকেন্ড উইন্ডো যখন ওপেন হল তখন ইউক্রেনের একটা অফার আমি ছেড়ে দিই। যাই হোক আমি চিন্তিত নই।” পরক্ষণেই তাঁকে বলতে শোনা গেল, “যে কোনও দলে দু’জন কোচ রাখা মোটেই উচিত নয়। একটা মতপার্থক্য গড়ে ওঠে। তাতে দলের ক্ষতি হয়। তাই আমার মতে, একজন কোচ রাখাই একটা দলের পক্ষে ভাল।” এডু এও জানিয়ে দেন, খালিদের কোচিংয়ে যা শিখেছিলেন সেটাই তাঁরা সুপার কাপে প্রয়োগ করেছেন।
[সাপের গর্তে থাকব তবু খালিদের সঙ্গে নয়, কড়া বার্তা সুভাষের]
The post দু’জন কোচ রাখা মানে দলেরই ক্ষতি, বিদায়বেলায় মত এডুর appeared first on Sangbad Pratidin.